ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন শাকিব খান। অপু বিশ্বাস এখনো সমঝোতা চান। সিটি করপোরেশন উত্তরে শাকিব-অপুর প্রথম সমঝোতা বৈঠকে আসা অপুকে খুব একটা চিন্তিত মনে হয়নি। তার কথাবার্তায়ও ছিল বেশ দৃঢ়তা। সিটি করপোরেশনের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন  সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেন। অপু বলেন, ভালোবেসে ধর্ম ছেড়েছি। হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছি। এখন আর সেই ভালোবাসার স্বামীকে ছাড়তে চাই না। আমার একটি সন্তান রয়েছে, আমি  বিচ্ছেদ চাই না। শাকিব যে অভিযোগগুলো করেছে এগুলো ঠিক নয়। ওকে আমি পাচ্ছি না। ভেবেছিলাম আজ পাব, পেলাম না। ওর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বললে সব ঠিক হয়ে যেত। এ ছাড়া এখানে যে স্বাক্ষর তা তো তার নয়। ওর জন্য আমি ধর্ম ত্যাগ করেছি। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তাকে অন্যরা ভুল বুঝিয়েছে। ও সামনাসামনি হলে সব ভুলবোঝাবুঝির অবসান ঘটত। মুঠোফোনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে শাকিবের কথা হলে তিনি তার সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি করেন। ব্যাংককে থাকা শাকিব বলেন, আমি আর এসব নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। এসব ঝামেলায় আমার কাজের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেন বলেন, আমাদের কাজ হলো সমঝোতা করিয়ে দেওয়া, তালাক নয়। তবে এ ব্যাপারে কাউকে জোর করতে পারি না। ৯০ দিনের মধ্যে সিটি করপোরেশনের ডাকা তিনবারের বৈঠকে সমঝোতা না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভোর্স হয়ে যাবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় বৈঠক হবে। গত ২২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্সের নোটিস পাঠান শাকিব খান। সেখানে শাকিব ডিভোর্সের কারণ উল্লেখ করে বলেন, অপু বিশ্বাস কথিত বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ভারতে বেড়াতে গেছেন। এই সময়ে ছেলে জয়কে বাসার কাজের লোকের কাছে রেখে গেছেন। যা ছিল তার সন্তানের জন্য অনিরাপদ। প্রায় ১৪ মাস অন্তরালে থাকার পর গত বছরের ১০ এপ্রিল বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোরে এসে বিয়ে ও সন্তানের খবর জানান অপু বিশ্বাস। তিনি জানান, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিবের সঙ্গে বিয়ে হয়। কলকাতার একটি ক্লিনিকে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ছেলে আব্রাম খান জয়ের। এ খবর প্রকাশের পর পরই অপুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন শাকিব। তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn