আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো ক্ষমতাই থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর, এমনটা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিএনপির মধ্যে মতভেদ আছে। বুধবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিদর্শনকালে ওবায়দুল কাদের জানান, উবার, পাঠাওসহ রাইড শেয়ারিং নীতিমালা পাস হয়েছে; এক মাসের মধ্যে তা কার্যকর করা হবে। এ সময় চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গে বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিভক্তি আছে বিএনপি নেতাদের মধ্যে। কাদের আরো বলেন, তারা রূপরেখা দেবে সহায়ক সরকারের, এর মধ্য ইন (প্রবেশ) করেছে আরো দুটি বিষয়—নিরপেক্ষ সরকার, তত্ত্বাবধায়ক।’ তিনি বলেন, ‘তিনটার কোনটা তারা চায়, এর মধ্যে তাদের নেতারা একেকজন একেক কথা বলছে। ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন ছিল সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কতটা খর্ব হবে? এর উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো ক্ষমতায় থাকবে না। ইনকামবেন্ট (চলমান) সরকার যে দায়িত্ব পালন করে, একেবারে দায়সারা গোছের একটা দায়িত্ব, একটা সরকার আছে থাকতে হয়। গণতান্ত্রিক অন্যান্য দেশে এভাবেই হয়। কোনো মেজর পলিসি, সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কে হচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি? নতুন মুখ আসবেন নাকি বহাল থাকবেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি? এমন প্রশ্নেও ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য যিনি, তিনিই আগামী দিনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন। তা এখন নতুন না পুরাতন থাকবেন, সেটা তো আমি এখন বলতে পারছি না।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn