সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমেরগুলোর মধ্যে এখন শীর্ষস্থানে রয়েছে ফেসবুক। ভার্চুয়াল এই জগতে প্রতিনিয়তই অনেক মানুষ বন্ধু তালিকায় যুক্ত হতে চায়।আমরা নিজেরাও অনেক সময় পরিচিত মানুষকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে থাকি। তবে এক্ষেত্রে কাউকে বন্ধু করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কেননা ফেসবুক এখন একটি ব‍্যক্তিগত ভার্চুয়াল ডায়েরিতে পরিণত হয়েছে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে।
১. বন্ধু হওয়ার আবেদন গ্রহণ
ভার্চুয়াল জগত অনেক অচেনা মানুষই আপনার বন্ধু হতে রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে। সবার উদ্দেশ্য ভালো হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং ফেসবুকে কারো বন্ধু হওয়ার আবেদন গ্রহণ করার আগে তার প্রোফাইলটি ভালো করে দেখে নিয়ে যাচাই-বাচাই করা উচিত।
২. অপরিচিতদের রিকোয়েস্ট না পাঠানো
ফেইসবুকের সচেতন ব‍্যবহারকারীরা সাধারণত অপরিচিত মানুষের রিকোয়েস্ট গ্রহণ করেন না। আর অপরিচিত মানুষকে রিকোয়েস্ট পাঠালে অনেকেই বিরক্ত হতে পারেন। তাই অচেনা মানুষকে রিকোয়েস্ট না পাঠিয়ে চেনা মানুষকে পাঠানোই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে করে অন্যরা বিরক্ত হবেন না।
৩. খেয়াল রাখা বন্ধুদের সঙ্গে কি কি শেয়ার করবেন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যম এখন যেন ব‍্যক্তিগত ডায়েরি হয়ে গেছে। প্রতি মুহূর্তে ব‍্যক্তিগত জীবনের অনেক তথ্য, স্মৃতি ও ছবিসহ অনেক কিছুই শেয়ার করা হয় ফেসবুকে। তাই আপনার একান্ত ব‍্যক্তিগত কোনো পোস্ট অচেনার বন্ধুদেরকে দেখাতে চান কিনা তা ভেবে দেখে তারপর সবকিছু শেয়ার করা উচিত।
৪. যে কারণে রিকোয়েস্ট পাঠাবেন
কোন মানুষ কি কারণে রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছেন তাও খেয়াল রাখতে হবে। অনেক মানুষকেই আপনি চিনে থাকতে পারেন কিন্তু তারাও যে আপনাকে চিনতে পারবে এমন কোনো কথা নেই। এরূপ ক্ষেত্রে যে কারণে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন তা জানিয়ে একটি বার্তাও পাঠাতে পারেন। এতে করে অপরিচিত ব্যক্তিটি বুঝতে পারবেন কেনো তাকে রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে এবং বিরক্তবোধ করবেন না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn