সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে শনিবার নগরীর দরগাগেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের হলরুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, জেলা উপদেষ্টা শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান ও মাজহারুল ইসলাম ডালিম, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, আব্দুল আহাদ খান জামাল ও আবুল কাশেম, জেলা প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, ধর্ম সম্পাদক আল মামুন খান, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক ওহিদ আহমদ তালুকদার, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ও বজলুর রহমান ফয়েজ, মহানগর সহ-দফতর সম্পাদক লোকমান আহমদ, জেলা সহ-দফতর সম্পাদক দিদার ইবনে তাহের লস্কর, সহ-আইন সম্পাদক আমিন উদ্দিন, যুবদল নেতা সাদিকুর রহমান সাদিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হাসান জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজেকে ‘বিএনপির সৃষ্টি’ দাবি করে বলেন,আর জিয়াউর রহমানের আদর্শই আমার রাজনীতির আদর্শ। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিএনপিই আমার একমাত্র ঠিকানা। অপপ্রচারে কান না দিয়ে নিজেদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রমকে সুসংহত করার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে জিয়াউর রহমান লালিত স্বপ্নের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই। মেয়র আরিফ পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ফুল দেয়া প্রসঙ্গে বলেন- ‘আমি ব্যক্তি আরিফ পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ফুল দেই নি। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নগরীর উন্নয়ন কর্মকান্ড সচল রাখতে কৌশলগত কারণেই আমি সেখানে গিয়েছি।’

আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাকশালী শাসনে নিষ্পেষিত জাতির ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘ফরমায়েসী’ রায়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। তারেক রহমানকেও রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে ধ্বংসপ্রায় গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। কিন্তু, জিয়ার সৈনিকরা বাংলার মাটিতে বেঁচে থাকতে তাদের শেষ রক্ষা হতে দেবে না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার করতে জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকরা অবশ্যই প্রস্তুত রয়েছে।’-

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মহানগর সহ-সভাপতি ফাত্তাহ বকশী, জেলা শ্রম সম্পাদক ইউনুস মিয়া, মহানগর কৃষক দল সভাপতি আব্দুল মান্নান পুতুল, জেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে ছালিক আহমদ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ খান, দিলোয়ার হোসেন জয়, এনামুল হক মাক্কু, জাহাঙ্গীর হোসেন, গিয়াস আহমদ মেম্বার, জিয়াউল ইসলাম, সামসুর রহমান শামীম, আব্দুল মন্নান, ফয়জুর রহমান, নজরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম বাচ্চু, ওসমান গণি, আলী আহমদ আলম, বুরহান আহমদ রাহেল, সালাউদ্দিন রিমন, মনিরুজ্জামান মনির, আসাদুল হক আসাদ, সোহেল ইবনে রাজা, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, কামরান আহমদ, জামাল আহমদ, রুহেল আহমদ কালাম, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা, তানিমুল ইসলাম তানিম, রফিক দেওয়ান, আব্দুল মুকিত, সোহেল, মাহবুবুল আলম সৌরভ, জাবেদ হোসেন, আব্দুস সাত্তার কুদরত, এবি শিহাব, রেজাউল কাদির রেজা, দিলোয়ার হোসেন সায়েম, মোজাম্মেল আলম সাদ্দাম, শাহীন আহমদ, সেলিম আহমদ, মকসুদ আহমদ রিপন, মহিবুর রহমান, দিলোয়ার হোসেন, রুবেল আহমদ, জুবের আহমদ, শাহিন আহমদ, ইমরান আহমদ, জাহিদ আহমদ, মামুন আহমদ, রনজিত, হোসাইন আহমদ, আজহারুল ইসলাম সামি প্রমুখ। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন- আমি আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির সৃষ্টি। আর মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শই আমার রাজনীতির আদর্শ। মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত বিএনপিই আমরা একমাত্র ঠিকানা। অপপ্রচারে কান না দিয়ে নিজেদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রমকে সুসংগহত করার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে আমরা শহীদ জিয়ার স্বপ্নের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn