মেক্সিকোতে শুক্রবার রাতে তেলের পাইপলাইন বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে প্রাথমিভাবে ২১ জন নিহতের কথা বলা হয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭৪ জন। আহতদের মধ্যে সাতজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হতাহতের এ হালনাগাদ তথ্য জানান হিদালগো রাজ্যের গভর্নর ওমর ফায়াদ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এর আগে নিহতের সংখ্যা ২১ জানিয়ে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ওমর ফায়াদ। তিনি জানান, স্থানীয় কিছু লোকজন ‘লিক’ হওয়া জ্বালানি তেলের পাইপলাইন থেকে তেল চুরি করতে গেলে সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মেক্সিকান টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, রাতের অন্ধকার আকাশ ছেয়েছে আগুনের লাল আভায়। মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেম্পেক্স এক বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে অবৈধভাবে তেল চুরিকে দায়ী করেছে। পাইপলাইনটি সুরক্ষায় কয়েক হাজার মেরিন সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে। সাময়িকভাবে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই দুঃখজনক ঘটনার মূল কারণ স্থানীয়দের জ্বালানি সংকট। মার্টিন ট্রেজো নামের এক ব্যক্তি বলেন, অনেক মানুষ এসেছিলেন তেল নিতে। কারণ অনেকের ঘরে জ্বালানি নেই। ধারণা করা হচ্ছে তেলের পাইপলাইন থেকে শহরের মানুষজন তেল চুরি করার সময় এই

সরকারের দাবি, গত বছর তেল চুরির কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। ডিসেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাম ঘরানার প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর তেল চুরির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে মেক্সিকো সিটি সদর দফতরে পাইপলাইন বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন এবং ২০১২ সালে গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn