বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। একই দিন ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন স্থানে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের বাধায় বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি’র   পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। লাঠিচার্জ ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগও পাওয়া গেছে। গতকাল সিরাজগঞ্জে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, নওগাঁ, গাজীপুরের শ্রীপুর, বরগুনার পাথরঘাটায়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার,  নোয়াখালীর চাটখিল, নাটোর, ভোলা, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলা ও বাধার ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী, নরসিংদীসহ আরও বিভিন্ন জেলায়। বিএনপি দাবি করেছে অন্তত ৫০টি’র বেশি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।

৩ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ – বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে দুইদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। ১৩টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির জন্য পাইকপাড়া মোড়ে সমবেত হয়। এ সময় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সড়কের ওপর থাকা ১৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, দুইদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্র- সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সকালে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তাড়াশ উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি স.ম আজম আলী, সগুনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মহুরী, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোজাহার আলী, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব তারেক রহমান, নাদো  সৈয়দপুর গ্রামের বিএনপি নেতা সামের আলী ও মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য আবু হাসেম। তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরে আলম জানান, পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) মির্জাপুরে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. আলহাজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে বহুরিয়া ইউনিয়নের বুধিরপাড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন। তাকে বিস্ফোরক আইনে রুজু হওয়া পূর্বের একটি মামলায় গ্রেপ্তার  দেখানো হয়েছে। মির্জাপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি’র চলমান কর্মসূচি না করার জন্য নানাভাবে প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আলহাজকে গ্রেপ্তার এরই অংশ।

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকইর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ঘ হয়। এতে দুই দলের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, আড়াইহাজার উপজেলায় পুলিশ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি নেতা ফারুক, সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ ও যুবদল নেতা হাবিবসহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। এদিকে পুলিশের দাবি বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে। এতে বাধা দিলে রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ দলটির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অনুযায়ী দলটির নেতাকর্মীরা ‘পদযাত্রা’ বের করেছিল। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের সমর্থকরা পাঁচরুখী বাজারের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ওপর অতর্কিত গুলি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজট হলে তাদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয়। অনুরোধ না শুনে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হলে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

চাটখিল (নোয়াখালী) চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া বাজারে বিএনপি  নেতাদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ হামলা করেছে। উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এডভোকেট মো. হানিফ জানান, শনিবার সকাল ১০ টার দিকে সোমপাড়া বাজারে বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালীন সরকার দলীয় কর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল, জামাল উদ্দিনসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের চাটখিল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সোহেল সাজ্জাদ জানান, শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিল চলাকালীন সময়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি শাহজাদা ইকবালসহ ৫/৬জন নেতাকর্মী আহত হন।

ধামরাই (ঢাকা) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিএনপি নেতাকর্মীরা ঢাকার ধামরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে গাঙ্গুটিয়া, সুতিপাড়া, সানোড়া ও সোমভাগ ইউনিয়নে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পদযাত্রাটি পণ্ড করে দেয়। জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদের নেতৃত্বে হাজারের অধিক নেতাকর্মী সুতিপাড়া, সানোড়া ও সোমভাগে পদযাত্রা করে সজাগ সেন্টারের কাছে পৌঁছালে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার,  পৌর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ, বিএনপি নেতা সুনীল সাহা, দেওয়ান লোকমান হোসেন, খলিলুর রহমান, যুবদল নেতা ইবাদুল হক জাহিদ, মোশারফ হোসেন, আক্তারুজ্জামান লিটন, খুররুম ছৌধুরী, সৈয়দ নাঈম, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহাম্মেদ ফারুক, ইসমাইল হোসেন সুমন, শিশির প্রমুখ।

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, সার ও ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। পাইকগাছা ও রূপসায় বিএনপি’র পদযাত্রায় বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ডুমুরিয়ায় বাধার মুখে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। খুলনা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু অভিযোগ করে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে পদযাত্রা শুরু করে ইউনিয়ন বিএনপি। এর পরপরই পুলিশ তাদের পদযাত্রায় বাধা দেয়। এ ছাড়া রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের দেয়াড়া এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি ধাওয়া দেয়া হয় ও ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অন্যান্য স্থানে কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। যদিও বিএনপি’র কর্মসূচিতে কোনো বাধা দেয়া হয়নি বলে জানান রূপসা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন। এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবুসহ আরও অনেকে। এদিকে গতকাল বিকাল ৩টায় যোগীপোল ইউনিয়নের শিরোমনি বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। খুলনা-যশোর মহাসড়ক ধরে ফুলবাড়ীগেট হয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মিছিলটি কুয়েট গেটে পৌঁছায়। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন আসছে। কঠোর ও চূড়ান্ত সেই আন্দোলনে বিজয়ী হতে দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

টেকনাফ (কক্সবাজার)  জানান, দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিনে পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টায় টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেনের নেতৃত্বে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সেন্টমার্টিনের পূর্বপাড়া থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে জেটিঘাট এলাকায় মিলিত হয়।

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর, উজিরপুর, কালিকাপুর, ঘোলপাশা, শুভপুর, কনকাপৈত ও চিওড়াসহ সব ইউনিয়নে বিএনপি’র পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা তত্ত্বাবধান করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. কামরুল হুদা। শুভপুর ও ঘোলপাশা ইউনিয়নের পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপি’র দায়িত্বরত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিববৃন্দসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো এবং যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল দিনব্যাপী বিভিন্ন ইউনিয়নে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সকালে করগাঁও ইউনিয়ন থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চনের নেতৃত্বে পদযাত্রায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল। অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদী বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম, করগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শরাফ উদ্দিন লস্কর পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মী। পদযাত্রায় যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, তাঁতীদল ও  খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও পৃথকভাবে উপজেলার বনগ্রাম, আচমিতা, মসূয়া, জালালপুর, লোহাজুরী ও পৌর এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

বাউফল (পটুয়াখালী)  বাউফল উপজেলা বিএনপি’র ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টায় বাউফল ইউনিয়নের বিলবিলাস বাজার সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু করে গোসিংগা পল্লী বিদ্যুৎ মোড় পর্যন্ত প্রায় ২ কি.মি. পথ হেঁটে যান নেতাকর্মীরা। পরে বিলবিলাস বাজারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হযেছে। এ সময়ে বক্তব্য রাখেন বাউফল পৌর বিএনপি’র সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, উপজেলা বিএনপি’র ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. তছলিম তালুকদার ও মো. অনিচুর রহমান, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য ও নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক  মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম জসিম, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. মুজাহিদুল ইসলাম, প্রমুখ। একই সময়ে উপজেলার ধূলিয়া, দাশপাড়া, আদাবাড়িয়া, কাছিপাড়া, বগা, মদনপুরা, সূর্য্যমণি ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র পদযাত্রায় ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. আলী আযম চৌধুরী ও আদাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি’র পদযাত্রায় উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নাজিরপুর, নওমালা, কালিশুরী ও কেশবপুর ইউনিয়নে বিকাল ৪টায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দফা দাবিতে ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াসহ কারাগারে বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। গতকাল সকাল থেকেই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পদযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ শুরু করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পদযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়ন, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন, বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন ও গুলিসাখালী ইউনিয়নে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পদযাত্রায় বাধা প্রদান করা হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। এদিকে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফারুক (৪০) ও বিএনপি নেতা মোস্তফা মোল্লা (৪৫)কে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন দুলাল বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচিতে পথে পথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাধা প্রদান করেছে। আমড়াগাছিয়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বাধা উপেক্ষা করেও ১১ ইউনিয়নে আমরা কর্মসূচি পালন করতে সক্ষম হয়েছি। মঠবাড়িয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আমরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাঁধা দেইনি। যান চলাচলের জন্য সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি।

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) সুবর্ণচরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। গতকাল সকাল ১০টার সময় উপজেলার সকল ইউনিয়নের ন্যায় চরবাটা খাসের হাট রাস্তার মাথা হয়ে খাসেরহাট বাজার এবং ৫নং চর জুবিলী ইউনিয়নের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের বাড়ি হয়ে হারিছ চৌধুরী বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট এবিএম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে খাসের হাট বাজার ও হারিছ চৌধুরী বাজার জিরো পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) , ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বিএনপি’র ইউনিয়ন পর্যায়ের পথযাত্রা গতকাল বিভিন্ন ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করেছে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা তারাকান্দা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের পদযাত্রার উদ্বোধন করেন,  ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার।

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)  শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি’র পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশি হয়রানি ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ এড়াতে গতকাল ভোর থেকে সকাল ৯টার মধ্যে বিএনপি তাদের কর্মসূচি শেষ করে। কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপি’র কোনো শীর্ষস্থানীয় নেতার উপস্থিতি চোখে পড়েনি। শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি’র বিভিন্ন সূত্র জানায়, দলটির পাটাভোগ, কুকুটিয়া, তন্তর, আটপাড়া, শ্রীনগর, ভাগ্যকুলসহ কয়েকটি স্থানে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। আওয়ামী লীগ উপজেলার প্রায় ১৪টি ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ করেছে।

নাটোর -নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, সিংড়া ও গুরুদাসপুরে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই দলের অত্যন্ত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আতিকুর রহমান তালুকদারের বাড়ি ভাঙচুর করারও অভিযোগ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপি’র পদযাত্রা মঞ্চ দখল করে শান্তি সমাবেশ করার অভিযোগও উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নাটোর পৌরসভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের নেতৃত্বে শান্তি সমাবেশসহ বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগ।

বাগেরহাট -বাগেরহাটের ৯ উপজেলার গ্রামে গ্র্রামে ১০ দফা দাবিতে আদায়ে গতকাল দিনভর পদযাত্রা করেছে বিএনপি। জেলা ও উপজেলা নেতাদের নেতৃত্বে এই পদযাত্রায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন। এই পদযাত্রা বানচাল করতে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি, হয়রানি ও ১০ দলীয় নেতাকর্মীদের আটকের অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি। বাগেরহাটের মোংলা ও রামপালের ১৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল দিনভর পদযাত্রায় ১০ দফা দাবির লিফলেট বিতরণ করা হয়। পদযাত্রায় বিএনপি’র এই নেতা বিভিন্ন পথসভায় বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এদিকে জেলাব্যাপী পদযাত্রাকে ঘিরে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ বাড়ি বাড়ী গিয়ে তল্লাশি, হয়রানি ও দলীয় নেতাকর্মীদের আটকের অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি। বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আটক দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।

দিরাই (সুনামগঞ্জ) দিরাইয়ের ৯টি ইউনিয়নে বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল উপজেলার রফিনগর, ভাটিপাড়া, চরনারচর, রাজানগর, সরমঙ্গল, করিমপুর, জগদল, তাড়ল ও কুলঞ্জ ইউনিয়নে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে টিম লিডার ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে একযোগে এসব কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মীরা। বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিরাই শাল্লার সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা প্রতিটি ইউনিয়নে এ কর্মসূচি পালন করেন জানিয়ে দিরাই উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ জানান, আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছি।

নরসিংদী – পলাশ উপজেলায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে কয়েক দফা বাধা দেয়ার পর ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্মসূচিতে ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেন- আবদুল মঈন খানের নির্দেশনা ছিল, নেতাকর্মীরা কোনো সেøাগান না দিয়ে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন। বেলা ১১টার দিকে চরনগরদী-পারুলিয়া সড়কের চরনগরদী মোড় থেকে পদযাত্রা কর্মসূচিটি পারুলিয়া মোড়ের দিকে যাত্রা শুরু করে। শুরুর পরপরই পলাশ থানার উপণ্ডপরিদর্শক শামসুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাধা দিয়ে বলে, সামনে যাওয়া যাবে না। পরে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস ঘটনাস্থলে এসে কর্মসূচির ব্যানার ছিনিয়ে নেন এবং অংশ নেয়া কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা। আবদুল মঈন খান বলেন, আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। আমরা হিংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না বলেই পুলিশের উস্কানি ও বাধার মুখেও কোনো দ্বন্দ্বে জড়াইনি। গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আমরা তাদের বলেছি, পদযাত্রা করবেন আপত্তি নাই, জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র দেখান। তারা আমাদের কাছে কোনো প্রকার অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাদের বাধা দেয়া হয়েছে।

এদিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিএনপি’র ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের জোড়াপুকুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি’র ৬ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। আহত ব্যক্তিরা হলেনÑ উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির (৫৫), বিএনপি কর্মী ছাদেকুল (৩০), মোহন (৩৫), আশরাফ আলী (৪০), সাফি (২৮), আমিনুর রহমান (৫৫) ও আজিজুল ইসলাম (৪৫)। ভোলা প্রতিনিধি জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি, হামলায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে গ্রেপ্তার বা আবার হামলা এড়াতে আহত ব্যক্তিরা কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যাননি। আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি করেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ সত্য নয়। তবে শান্তি সমাবেশের জন্য মাঠে আছেন তারা। ভোলার, মনপুরা, চরফ্যাশন, তজুমদ্দিন, বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর উপজেলা এবং দৌলতখান উপজেলায় বিএনপি’র পদযাত্রায় হামলার ঘটনা ঘটে।

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিএনপি’র পদযাত্রায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জন আহত হয়েছেন। উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু হানিফার নেতৃত্বে উপজেলা পাম্প মোড় থেকে পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি উপজেলা মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কতিপয় নেতাকর্মী এ সময় বিএনপি’র পদযাত্রার উপর হামলা চালায় এবং এতে ৮-১০ জন নেতাকর্মী আহত হয় বলে জানান উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক। পরে উপজেলা পাম্প মোড়ে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাহেব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদাকাত হোসেন সাজু প্রমুখ। এ ছাড়াও উপজেলা রমনা মডেল ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আ. মতিন সরকার শিরিনের নেতৃত্বে পদযাত্রা শেষে সরকার পাড়া মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn