বিকেলে আটকের পর সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীর ৪ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আটক নেতাদের নামে কোনো মামলা না থাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইতে গিয়ে জামায়াতের ওই ৪ নেতা আটক হন। আজ বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদরদপ্তরের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।জামায়াতের ওই ৪ নেতা হলেন- সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভুইয়া, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন ভুইয়া।

ডিসি আশরাফ বলেন, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যেন কোনো মামলার আসামি সাক্ষৎ করতে না পারেন, এজন্য জামায়াত নেতাদের আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তারা মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি কি-না, সেটা দেখা হয়। তারা কোনো মামলার আসামি না হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনের নামে মামলা থাকলেও তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন।

আগামী ৫ জুন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চায় জামায়াতে ইসলামের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। এ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইতে জামায়াতের প্রতিনিধি দলটি ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছিল। এর আগেও চারবার দলটির পক্ষ থেকে কর্মসূচি পালন করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা অনুমতি পাননি। আজ পঞ্চমবারের মতো অনুমতি চাইতে গেলে তাদের আটক করে হয়।

এ ঘটনায় জামায়াতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে অত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং জামায়াতের আমিরসহ আটক নেতাকর্মীর মুক্তি দাবিতে আগামী ৫ জুন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি ও সহযোগিতার জন্য রোববার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পক্ষ থেকে অনলাইনে আবেদন করা হয়। পরে আজ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে গেলে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেখানে যে কোনো নাগরিকের প্রবেশের অধিকার রয়েছে। বরং সেখান থেকে নেতাদের আটক করার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মানবাধিকার পরিপন্থি।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn