সুনামগঞ্জ :: বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কুখ্যাত জালিয়াত চক্রের সদস্য ফজলু’র আবারও জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ও জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গত বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তৃতীয়বার জামিন চাওয়া হলো। গত ৮ মে জালিয়াত মামলায় বিশ্বম্ভরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে আসলে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। জানা যায়, উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের স্বরূপগঞ্জ গ্রামের ইব্রাহিম বাদী হয়ে বিগত ১৪ মে ২০১৭ দ:বি: ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফজলুর রহমান ওরফে ফজলু ও তার ভাই মজিবুর রহমানকে আসামী করে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। পিটিশন মোকদ্দমাটি বিশ্বম্ভপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নব গোপাল দাস তদন্ত সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৫ মার্চ সাক্ষ্য প্রমাণাদি ও হস্তরেখা বিশারদের মতামত বিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে রেকর্ড যাচাই বাচাই অন্তে জালিয়াতির সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় আদালতে দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদন সুত্রে আরও জানা যায়, বিবাদী ফয়জুর রহমান ও মুজিবুর রহমান দ্বয় যোগসাজসে জাল দলিল সৃজন করিয়া উক্ত জাল দলিলে দলিল নম্বর ৮৭৫৪/১৯৬৭ ব্যবহার করত: প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিবাদীদের পিতা আলী হোসেন মোড়ল জীবিত থাকাবস্থায় ১৯৬৭ সালে জনৈক গোলাম হোসেন এবং মিরাজ আলীর নিকট বর্নিত ভুমি বিক্রয় করিয়া নিজেদের জানা সত্বেও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শাসপুর মৌজাস্থিত জেএল নং ০১, এস এ খতিয়ান নং ২৩২, দাগ নং ১৫৯, পরিমাণ ১.৮০ শতাংশ ভুমি রহিয়াছে। তম্মধ্যে ইব্রাহিমের ক্রয়কৃত .০৫ শতকসহ ফজলুর রহমান ও মজিবুর রহমানের নামে ৬২৭নং খতিয়ান সৃজন করিয়া নামজারী করাইয়াছেন। ইব্রাহিমের দুই ছেলে ইসমাইল ও ইছব আলী দ্বয়ের নামে দলিল নং ৭০১, তারিখ: ১০ এপ্রিল ২০০৩। যাহা নামজারী মোকদ্দমা নং ৪৭/২০০১-২০০২। আদালতের নির্দেশে বিগত ৩১ ডিসেম্ভর ২০১৭ তারিখের আদেশনামা ও ক্ষমতাপত্র সহ উপরোক্ত জব্দকৃত কাগজপত্র পরীক্ষা করিয়া সুস্পষ্ট মতামত প্রদান করেন সিআইডি মালিবাগ ঢাকা। ফরেনসিক ল্যাবরেটরি (ঢাকা) হস্ত শাখা/ ১১ডব্লিউ-১-০০২৮-২০১৮/০২১৪/২০১৮ তারিখ: ২৯/০২/১৮ মতামত রিপোর্ট প্রদান করেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মো: মোরশেদ তোহা। মামলার বাদী ইব্রাহিম জানান, ফজলুর মত একজন জালিয়াত চক্রের সদস্য আদালত জেল হাজতে আটক হওয়ায় বিশ্বম্ভরপুর গ্রামাঞ্চলের অসহায় দরিদ্র মানুষকে জাল জালিয়াতের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং কলিম উদ্দিন, মতিউর রহমানসহ অসংখ্য সাধারন ও সহজ সরল মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, লুটপাট, প্রতারনার বহু অভিযোগ রয়েছে। তাকে সহজে জামিন দেয়া হলে আবারও জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারনা চালিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ইব্রাহিম খলিলের আইনজীবি জয়শ্রী দেব (বাবলী) জানান, এ ধরনের জালিয়াতির মামলায় কমপক্ষে তিন মাস জেল হাজতে থাকতে হয়। হাজত বাসের দিন কম থাকায় আবারও তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছে আদালত।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn