বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় গত ২-৩ দিনের টানা বর্ষণের ফলে ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছেন। উপজেলা সদর, উপজেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণ, উপজেলা পরিষদ, থানা প্রশাসন প্রাঙ্গণ, মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিশ্বম্ভরপুর বাজার গলি, হাসপাতাল প্রাঙ্গণ আবাসিক পাড়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত) পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে।বাদাঘাট (দ.) ইউনিয়নের যাদু কাটা পাহাড়ি নদী দিয়ে ও ধোপাজান চলতি পাহাড়ি নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবল বেগে ছুটে আসছে। বৃহত্তর খরচার হাওরে পাতাসে প্রবল ঢেউ উঠছে। অনেক বাড়িঘর ঢেউয়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্লাবিত হওয়ায় ও রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা যাওয়া আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উপজেলার পলাশ, ধনপুর, বাদাঘাট (দ.) ও সলুকাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধান ও শাকসবজি তলিয়ে গেছে। হাওর এলাকার বন্যার কবলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কর্মসংস্থানহীন জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে বিভিন্ন গ্রামের টয়লেট ও পানিয় জলের টিউবঅয়েল তলিয়ে গেছে। এতে পানিয়  জলের সংকট ও পয়নিষ্কাসনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়ও গরু-বাছুরের খাদ্য সংকট তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানার আহবানে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিক মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।এর আগে সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন মো. সাবিরুল ইসলাম বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।   স্থানীয়রা বন্যার পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যা ও ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn