বৃটেনে নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তাকে কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এর আগে রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র পেশ করেন বরিস জনসন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রানী। এরপরই স্কটল্যান্ডে অবস্থিত বালমোরাল ক্যাসেল ত্যাগ করেন জনসন। তার কয়েক মিনিট পরেই বালমোরালে প্রবেশ করেন লিজ ট্রাস। সেখানে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে গ্রিন রুমে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সোমবার ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের নেত্রী নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস। এরপর আজ রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময়ই নিয়ম অনুযায়ী তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

সেখান থেকে সরাসরি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে যাওয়ার কথা তার। এর মধ্য দিয়ে বৃটেনের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। দ্বিতীয়জন তেরেসা মে। আর তৃতীয় হলেন লিজ ট্রাস।

বেশির ভাগ বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে বাকিংহাম প্রাসাদ সফর করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করেছেন। শুরুতে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন রানী। কিন্তু লিজ ট্রাসের জন্য তা শুরু হয় এক হাজার মাইলের এক সফরের মধ্য দিয়ে। এই পথ পাড়ি দিয়ে তিনি বালমোরাল ক্যাসেলে পৌঁছেন। সেখানে ‘কিসিং হ্যান্ডস’ অর্থাৎ হাতে চুম্বনের এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রানী। তিনি তাকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।

নিয়োগ পাওয়ার পর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের উদ্দেশে যাত্রা করেন নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এটিই তার নতুন কর্মক্ষেত্রে এবং নতুন বাসস্থান। সেখানে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দেয়ার কথা তার। এ সময় তিনি ঘোষণা করবেন, তার সরকার কি করতে যাচ্ছে। 

 রানীর কাছে পদত্যাগ করেছেন বরিস জনসন

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বালমোরাল ক্যাসেল ত্যাগ করেছেন বরিস জনসন। তাকে বহনকারী গাড়ি আবারডিন বিমানবন্দরের দিকে ছুটে চলেছে। বালমোরাল ক্যাসেলে অবস্থানকারী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে তার পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এরপরই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথা লিজ ট্রাসের। তাদের দু’জনের একই সঙ্গে বালমোরালে প্রবেশ করার কথা থাকলেও আলাদাভাবে আজ সেখানে যান। এরই মধ্যে রানীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছেন বরিস জনসন। তখনও রাজপ্রাসাদে গিয়ে পৌঁছেননি লিজ ট্রাস।

ক্ষমতা হস্তান্তরের এই সময়টাতে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। কারণ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত সরকারহীন থাকে বৃটেন। এই সময়টা খুবই সংক্ষিপ্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে কয়েক মিনিটের। ঐতিহাসিকভাবে এই সময়টা থাকে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে যাওয়া পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়। কিন্তু এবার রানী বাকিংহামে নেই। তিনি অবস্থান করছেন স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে। এ জন্য আবারডিনশায়ারে অবস্থিত বালমোরাল ক্যাসেলে সফর করতে হচ্ছে বরিস জনসন ও লিজ ট্রাসকে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn