রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় চারটি ইউনিটের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ও লিখিত পরীক্ষা একই দিনে নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই চারটি ইউনিটের সাক্ষাৎকার মঙ্গলবার প্রায় একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। অথচ মেধা তালিকায় স্থান পাওয়াদের অনেকে একাধিক ইউনিটে চান্স পেয়েছেন। ফলে তারা একই সময়ে কীভাবে একাধিক ইউনিটের সাক্ষাৎকারে অংশ নেবেন তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন। অনুষদগুলোর ভর্তি কমিটির সমন্বয়হীনতার কারণে বিপাকে পড়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। তবে স্ব-স্ব অনুষদের ডিন ও ভর্তি কমিটির আহ্বায়করা বলছেন- একাধিক ইউনিটে চান্স পেয়েছে এমন শিক্ষার্থীরা সিরিয়াল মিস করলেও পরে তাকে সুযোগ দেয়া হবে। তবে সিরিয়াল মিস হয়ে গেলে প্রথমদিকের পছন্দের বিভাগ পাওয়া যাবে কীনা -তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা তথ্যানুযায়ী, আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিট, কৃষি অনুষদভুক্ত ‘জি’ ইউনিট, চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘আই’ ইউনিটের মৌখিক পরীক্ষা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কলা অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগের জন্য মনোনীত ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মঙ্গলবার সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তারা একাধিক ইউনিটে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। একই দিনে প্রায় একই সময়ে সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারণ করায় তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে আইন অনুষদের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ বলেন, ‘অন্য তিনটি অনুষদের আগে আমরা ফল প্রকাশ ও সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম। এতে আমাদের কোনো দায় নেই। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি তাদের নাম-রোলসহ সব তথ্য নিয়ে রেখেছি। পরে এলেও তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে।’ চারুকলা অনুষদের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অন্য অনুষদের সঙ্গে কথা বলে এটা নির্ধারণ না করায়, এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী এ ধরনের সমস্যায় পড়লে, তার সিরিয়াল মিস হয়ে গেলেও তাকে সুযোগ দেয়া হবে।’ আর কৃষি অনুষদের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ইংরেজির জন্য মনোনীত কিছু শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে, তাদের বিকেল ৫টার পর পরীক্ষা নেয়ার কথা বলেছি।’ জানতে চাইলে রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দকুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, ‘এটা আমার জানা ছিল না। ওই চারটি ইউনিটের ভর্তি কমিটির সঙ্গে আমি কথা বলব। কেউ যাতে বাদ না পড়ে কিংবা সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ কারণে ভোগান্তিতে না পড়ে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn