শান্তিগঞ্জে বিদ্যুৎবিভ্রাট চরমে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে গ্রাহককে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের এমন বিদ্যুৎবিভ্রাটে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। জানা গেছে, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে উপজেলার ৬ টি ফিডারে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। কিছু দিন ধরে উপজেলাব্যাপী চরম বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যা হলেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন নিত্যসঙ্গী। কোনোরুপ পূর্ব নোটিশ ছাড়াই প্রতিদিন দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ না থাকাঢ চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় উপজেলাবাসীর। প্রচন্ড গরমের মাঝেও পল্লীবিদ্যুতের এমন বিভ্রাটে অতিষ্ট গ্রাহকরা। এছাড়া নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের, ব্যাঘাত ঘটছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের। বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলায় গ্রাহকদের নাভিশ্বাস অবস্থা। বিভিন্ন ফিডারে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহুবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে।এদিকে আজ সোমবার থেকে মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হওয়া শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে। একাধিক
গ্রাহকের অভিযোগ, জরুরি প্রয়োজনে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয় না।পল্লীবিদ্যুতের ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটে ক্ষোভ প্রকাশ করে শান্তিগঞ্জ উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি ডা. শাকিল মুরাদ আফজল বলেন, এই প্রচন্ড গরমে প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট আমাদের সাথে খামখেয়ালি ছাড়া আর কিছু নয়। শতভাগ বিদ্যুতায়ন হলেও বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে মনে হয় কুপিবাতি আর হাতপাখার যোগে চলে আসছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা বলেন, আজ থেকে আমাদের শারদীয় দুর্গাপূজার মুল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। তবে সন্ধ্যাকালীন সময় থেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎবিভ্রাটে আমাদের পূজা উদযাপনে মারাত্নক বিঘ্ন ঘটছে। এই সমস্যার প্রতিকারে পল্লীবিদ্যুত সমিতি যেন গুরুত্ব দেন। ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণ জানতে চাইলে শান্তিগঞ্জ পল্লীবিদ্যুত সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. নাদির হোসেন জানান, বিদ্যুৎ জেনারেশন কম থাকার কারণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। এর সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সমস্যা সারাদেশেই। তবে সিলেট বিভাগীয় সমিতি থেকে জেনারেশন সাপ্লাই পেলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৫২ বার