যুক্তরাজ্য বিএনপির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবার আগেই নতুন কমিটি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। আন্দোলন আর দলীয় কর্মসুচী পালনের সাথে সাথে  আগামী কমিটির নেতৃত্বে আসতে পদপ্রত্যাশীরা আশ্রয় নিচ্ছেন নানা কৌশলের। মাঠে-ময়দানে না থাকলেও নিজের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার করাতে আশ্রয় নিচ্ছেন অনলাইন আর স্যোশাল মিডিয়ার।কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষ প্রান্তে তাই যুক্তরাজ্য বিএনপিতে এখন চলছে শোনশান নীরবতা।ভিতরে ভিতরে চলছে নিজেকে পদায়িত করার কুট কৌশল।

তুলনা মূলক হিসাবে যুক্তরাজ্য বিএনপির বর্তমান কমিটি সফলতার সাথে তাদের দুই বৎসর অতিবাহিত করছে।বর্তমান কমিটির  উল্লেখ যোগ্য সফলতা হচ্ছে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ কর্মসূচি যা ছিল বাংলাদেশের বর্তমান প্রধামন্ত্রীর যুক্তরাজ্যে সফরকে গিরে। হোটেল রেস্তুরায় কমিনিটিতে শুরু হয়েছে গুঞ্জন করা আসছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নতুন নেতৃত্বে বা কারা হতে পারেন যুক্তরাজ্য বিএনপির আগামী দিনের কান্ডারি।

সূত্রগুলো জানায়, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিএনপির সিনিওর ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখানে দীর্ঘদিন ধরে থাকায় যুক্তরাজ্য বিএনপি ও নেতাদের সম্পর্কে তাঁর ধারনা স্পষ্ট। এছাড়া যুক্তরাজ্যে বিএনপির এখনকার পরিবর্তিত স্ট্যাটেজির বাস্তবতায় বিতর্কের বাইরে থাকা অপেক্ষাকৃত যোগ্যতা সম্পন্ন  চৌকস আর গ্রহণযোগ্য নেতাদের নেতৃত্বে আনার পক্ষে তারেক রহমান।

লন্ডনে বিএনপির নেতৃত্ব প্রত্যাশী নেতাদের আয়ের উৎস, নেতাকর্মীদের কাছে তাদের কার কেমন গ্রহণযোগ্যতা আর সক্ষমতা- এমন বিষয়ে ওয়াকিবহাল তারেক রহমান । আর এ কারনে ব্যাক্তিগত পছন্দের চেয়ে অপেক্ষাকৃত যোগ্য এবং নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির মুল নেতৃত্ব গঠন করে পদবঞ্চিতদের দলের অন্য পর্যায়ে কাজে লাগানো হতে পারে।

বিএনপির নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, আসন্ন কমিটিতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সদস্য নন বা  কমিটির বাইরে থাকা এমন কাউকে হুট করে নেতৃত্বে আনার সম্ভাবনা কম। নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল আর নিবেদিত এবং ত্যাগী নেতারাই যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃত্বে আসবেন, এমন প্রত্যাশা যুক্তরাজ্য বিএনপির বিভিন্ন জোনাল কমিটির। সূত্রমতে যুক্তরাজ্য বিএনপির আসন্ন কমিটি সম্মেলনে সরাসরি জোনাল কমিটিগুলোর নেতাদের ভোটে হবারও সম্ভাবনা রয়েছে।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ  করে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি  এম এ মালেক,বর্তমান সভাপতি মালেক এখন পর্যন্ত হাইকমান্ডের এবং তৃনমুলের নেতাকর্মীদের কাছে নানা বিবেচনায় আলোচনায়  রয়েছেনা। পাশাপাশি সাবেক সভাপতি ও বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুসও এ পদের দাবীদার হতে পারেন।সূত্রমতে জানা যায় বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ সভাপতি পদ প্রত্যাশী।

অন্যদিকে সাধারন সম্পাদক পদে  কামাল উদ্দিন শহিদুল ইসলাম মামুন,যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি নাসিম চৌধুরীর  নাম নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচিত হচ্ছে।সাংগঠনিক সম্পাদকের পদের  জন্য বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খছরুজ্জামান খছরুর নাম তৃনমূল সহ নেতাকর্মীদের আলোচনায় আছে।প্রতিদিন লেইট নাইটে খছরুজ্জামান খরুর হিমালয় রেস্টুরেন্টে নেতাকর্মীদের আড্ডা চলে ভোর রাত্রি পর্যন্ত,যুক্ত রাজ্য বিএনপির কমিটি নিয়ে চলে নানা মন্তব্য।   সূত্র মতে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকের মুখে মুখে চাউর হচ্ছে বর্তমান কমিটির সভাপতি মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর পুনরায় নির্বাচিত হলে অবাক হওয়ার কিছু নাই। তবে অপেক্ষার বিষয় হলো তৃণমূলের প্রাণ পুরুষ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমান কি অতীতের ন্যায় আসছে কমিটিতেও শীর্ষ পদগুলো নির্বাচন করতে জোনাল কিংবা তৃণমূল কর্মীদের সাক্ষাৎকার নিবেন না অন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করবেন? কিন্তু শীর্ষ পদ পেতে আগ্রহী নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ কৌশলে লবিং রক্ষনাবেক্ষন নিয়েই খুবই ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn