সরকারের কঠোর ব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করার কারণে সৌদি আরবের ১১ যুবরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্প্রতি সরকার এসব যুবরাজের দৈনন্দিন ব্যয় বহন করতে অস্বীকৃতি জানায়। এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবিতে গতকাল গ্রেপ্তারকৃত যুবরাজরা রিয়াদের রাজপ্রাসাদে জড়ো হয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যাপকহারে কমে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশ্বের প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব। ২০১৮ সালে দেশটির বার্ষিক বাজেটে ১৯৫ বিলিয়ন রিয়াল ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতি পূরণে সম্প্রতি সৌদি সরকার বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ভর্তুকি হ্রাস, ভ্যাট প্রথা চালু ও রাজপরিবারের সদস্যদের ভাতা হ্রাস অন্যতম। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সৌদি যুবরাজরা। তারা রাজপ্রাসাদে সমবেত হয়ে যুবরাজদের ভাতা হ্রাসের প্রজ্ঞাপন বাতিল করার দাবি জানান। সৌদি আরবের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যুবরাজদের তাদের দাবি না মেনে নেয়ার বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তারা রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়। বর্তমানে তাদের আল হায়ের কারাগারে রাখা হয়েছে। দ্রুতই বিচারের মুখোমুখি হবেন এই যুবরাজরা। এই বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে যুবরাজদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। সৌদি সংবাদমাধ্যম সাবক-এর প্রতিবেদনে অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আইনের ক্ষেত্রে সবাই সমান। যারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও বিধি-নিষেধ মেনে চলবে না, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। অপরাধী যে-ই হোক না কেন, সেটা কোনো বিষয় না। উল্লেখ্য, গত বছর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সৌদি আরবের কয়েক ডজন যুবরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযান সফল হওয়ায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা আরো সুসংহত হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn