নিজস্ব প্রতিবেদক :সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার নিরীহ ইজিবাইক চালক সিকন্দর হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাচনা বাজার ইউনিয়নবাসী। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টের সামনে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে সাচনাবাজার ইউনিয়নের শত শত ছাত্র জনতা অংশগ্রহণ করেন। ঘাতকের ফাঁসি চাই ইত্যাদি শ্লোগান সংবলিত পোস্টার নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, মানুষ কতটা অমানুষ হলে নির্মম অত্যাচার করে নিরীহ ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা করতে পারে ? সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি রাখছি, দ্রæততম সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। দৈনিক সুনামগঞ্জের সময় পত্রিকার সম্পাদক সেলিম আহমদ তালুকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, পৌর কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লৌহ, নিহত সিকন্দর আলীর আইনজীবী এডভোকেট শহীদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর স্বপন, জেলা শ্রমিক লীগ সদস্য সায়েম পাঠান, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন, খাদেমুল কোরআন পরিষদের সভাপতি মাও: কামরুল হক, সাচনাবাজার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগনেতা কয়ছর আহমদ, ইজিবাইক সমিতির সভাপতি আব্দুল আলী, রামনগন গ্রামের শহিদ মিয়া, রাধানগর গ্রামের আলমগীর হোসেন, বানিপুর গ্রামের শহীদ মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য সুজাতপুর গ্রামের মহিম উদ্দিন, আলিম উল্ল্যাহ, হরিপুর গ্রামের আব্দুল আরজ, নুরুজ্জামান, সুলেমান প্রমুখ । উল্লেখ্য, ১১ মে গভীর রাতে এক নারীকে নিয়ে ফুর্তি করতে ইজিবাইকে বহন করে সিকন্দরকে নিরাপদে নিতে বলেছিল ঘাতকরা। ঘাতকদের অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানিয়ে ইজিবাইকে বহন করতে অসম্মতি জানান। তারেই জের ধরে ঘাতকরা গভীর রাতে ইজিবাইক চালককে খুন করে মাদখালি হাওরে ফেলে দেয়। পরে আইন-শৃংখলাবাহিনী খুনের রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়ে উঠে। ১২ দিনের মাথায় খুনের মূলহোতা আমির হোসেনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এবং তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn