ঢাকা: হলিউড কিংবা বলিউডের মতো সেক্স স্ক্যান্ডালের ঘটনা বাংলাদেশের শোবিজে খুব বেশি নেই। যা আছে তারও সত্যতা নিয়ে আছে প্রশ্ন। আসুন দেখি কম বেশি যাদের এসব সেক্স স্ক্যান্ডাল ছড়িয়েছে তাদের সম্পর্কে জেনে নেই। শমী কায়সার: শমী কায়সার বেশ কিছুদিন থেকে অভিনয়ের বাইরে আছেন। একসময়ে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শমী কায়সার। শমী কায়সার তার অভিনয় জীবনে সবচেয়ে আলোচিত হন সেক্স স্ক্যান্ডালের কারণে। কলকাতার রিঙ্গোকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। তাদের গোপন ভিডিও বাজারে আসে ২০০৩ সালের দিকে। এসময় সিডি তৈরি করে ব্যবসা করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

সাদিয়া জাহান প্রভা: জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা যখন দেশের শীর্ষ মডেল ও অভিনেত্রী, ঠিক সেই সময়েই তার একটি ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছাড়েন তার সেই সময়ের হবু বর রাজীব। মুহূর্তেই তা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তুমুল বিতর্কে পরেন প্রভা। অভিনেতা অপূর্বর সাথেও সংসার ভেঙ্গে যায়। ক্যারিয়ারে ধস নামে। দীর্ঘ ২ বছর মিডিয়া থেকে আড়ালে ছিলেন তিনি।

পপ তারকা মিলা: জনপ্রিয় পপ শিল্পী মিলা’র ক্যারিয়ার শুরু হয় গানের মাধ্যমেই। ইন্টারনেটে ‘মিলা’ নামে একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটিতে মাতাল অবস্থায় থাকা তরুণীর চিত্র রয়েছে। এ ঘটনার কয়েকমাস পর মিলা এ বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত ভিডিও চিত্রের মেয়েটি তিনি নন। এটি আসলেই মিলা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে স্ক্যান্ডাল থেকে রক্ষা পাননি তিনি।

নাদিরা নাছিম চৈতি: প্রভার আপত্তিকর ভিডিও চিত্র প্রকাশ হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই পরের বছরই মডেল ও উপস্থাপিকা চৈতির একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হয়। নির্মাতা এনামুল কবির নির্ঝরের সাথে এই ভিডিওতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় চৈতিকে। ভিডিওটি মোবাইলে ধারণ করা হয়েছিলো। এই আপত্তিকর ভিডিও চিত্রটি প্রকাশের পরপরই তুমুল সমালোচনার মধ্যে পড়েন চৈতি। এ ঘটনা মিডিয়া অঙ্গনসহ সাধারণ মহলেও বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর অনেক দিন মিডিয়ায় দেখা যায়নি এই তারকাকে।

নোভা: অভিনেত্রী নোভার নামও জড়িয়ে পরে ভিডিও স্ক্যান্ডালে। ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময়ে একটি ভিডিও ফুটেজ বিতর্কে ফেলে দেয় এই তারকাকে। ২০১০ সালে তার নামে একটি অর্ধ বিবসনা ফুটেজ ছড়িয়ে পরে। যা এ তারকাকে স্ক্যান্ডালের তালিকায় ফেলে দেয়। যদিও ফুটেজটির মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আনিকা কবির শখ: জনপ্রিয় মডেল আনিকা কবির শখের নামে একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে। ভিডিও ক্লিপটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই এটি নানাভাবে ছড়িয়ে পরে সর্বত্র। ভিডিওতে বিবসনা নারীটি আসলেই শখ কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর শখের ক্যারিয়ার ইমেজে দর্শকদের নেতিবাচক বার্তা পৌছায়।

মেহজাবিন: বাংলাদেশের সেক্স স্ক্যান্ডালের সর্বশেষ বলি উঠতি তারকা মেহজাবিন। কিছুদিন আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে মেহজাবিনের নামে এক পর্নো ক্লিপ। মেহজাবিন অবশ্য জানিয়েছেন, এটি স্রেফ ভাইরাস। তার বিরুদ্ধে শত্রুতা করে কে বা কারা তার নামে এই অপপ্রচার চালিয়েছে।

সারিকা: ভিডিও স্ক্যান্ডালের ফাঁদে পড়তে হয়েছে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকাকেও। ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েব সাইটে সারিকার নামে একটি পর্ণো ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়। এই ভিডিও চিত্রটিও সেলফোন, মনিটরে ঘুরে ঘুরে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে প্রকাশিত ভিডিওর নারী চরিত্রটি সারিকা নয় বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা দাবি করেছেন।

পরশী: বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী পরশীও রেহাই পায়নি এই সাইবার ক্রাইম থেকে। ভিডিও স্ক্যান্ডালের শিকার হতে হয়েছে তাকেও। পরশীর নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যদিও ভিডিওর মেয়েটির পরিচয় জানা যায়নি।

বিন্দু: নাট্যকার ও সাংবাদিক অরুন চৌধুরীকে জড়িয়ে একটি ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। আর এর সাথে যুক্ত হয় জনপ্রিয় তারকা বিন্দুর নাম। একটি অফিস কক্ষে গোপন ক্যামেরায় ধারনকৃত এই ভিডিওতে কথিত অরুন চৌধুরীর সাথে যে নারীটিকে দেখা গেছে সেই নারীটি মডেল বিন্দু বলে বিভিন্ন যায়গায় প্রচার হয়। এটিকে বিন্দুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলেও দাবি করেন তার নিকটজনরা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn