চলমান এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের তুলনার বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা হতে দেশের উত্তর-পূর্বের হাওরাঞ্চলে। দুই থেকে তিনদিন প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস থাকলেও চলতি মাসে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র এবং এক থেকে দু’টি মাঝারি তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাসিক পূর্বাভাসে এসব এসব তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি থেকে দু’টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। মাসের শেষ নাগাদ এ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্চে স্বাভাবিকের তুলনায় ৫৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। গত মাসে রাজশাহী ও রংপুরে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাকি ছয় বিভাগে বৃষ্টির ব্যত্যয় হয়েছে। বরিশালে আগের ৩০ বছরের তুলনায় ৯০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এপ্রিল মাসের পূর্বাভাসে আভাস দেওয়া হয়েছে, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দুই ডিগ্রি বেশি থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। অন্য অঞ্চলে একটি থেকে দু’টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়াবিদ শামীম হাসান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এপ্রিল ও মে বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। দুই একটি তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস স্বাভাবিক। গত বছর মে মাসে ১১ দিনের টানা দাবদাহে গোটা দেশ নাকাল হয়ে পড়েছিল। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল। এবারও তেমন তাপপ্রবাহের শঙ্কা নেই। গত বছর হাওরে অকাল বন্যা হয়েছিল টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে। এবারও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৃষি আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গত বছর চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বন্যা শুরু হয়েছিল। এবার বৈশাখের মাঝামাঝি বন্যা আসতে পারে। তার আগেই হাওরের ধান উঠে যাবে। তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn