২১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৪শে জানুয়ারি থেকে এ নির্বাচনের ক্ষণ গণনাও শুরু হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সোমবার ইসি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৪শে জানুয়ারি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে। পরদিন ২৫শে জানুয়ারি কমিশন  বৈঠকে এ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম নেয়া হবে।২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন আবদুল হামিদ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯ মেয়াদে ১৬ জন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। সেই হিসাবে আবদুল হামিদ এই পদে সপ্তদশ ব্যক্তি। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’ ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩শে এপ্রিল। সেক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে কমিশনকে মেয়াদ শেষের ৬০ দিন আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ২৪শে জানুয়ারি থেকে ২৩শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট করার প্রস্তুতি নেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। সেক্ষেত্রে চলতি অধিবেশনেই হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন-১৯৯১ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এমপিদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাতে নির্বাচনী কর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইনের সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে- ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় ও স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষার পরে একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ থাকলে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তিকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন। তবে একাধিক ব্যক্তির মনোনয়নপত্র  বৈধ হলে তাদের নাম ঘোষণা করবেন। সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় একবারই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্তার সামনে নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নিজের স্বাক্ষর দিয়ে তা জমা দিতে হবে। ভোটের দিন গ্যালারিসহ সংসদ কক্ষে প্রার্থী, ভোটার, ভোট নেয়ায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ছাড়া সবার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করবেন নির্বাচনী কর্তা। ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn