কে সেই ‘জুলাইযোদ্ধা’?‘
- সময় : ১০:০০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩১ ভিউ
আমি সিলেট এমসি কলেজে আছি। আমি বর্তমানে এমসি কলেজে মেট্রিক পাস দিছি।’- পুলিশের মারধরে আহত হয়ে রাস্তায় শুয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমনটি বলছেন এক তরুণ। তার পরনে ‘জুলাইযোদ্ধা’ লেখা টি-শার্ট।
শুক্রবার এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। এরপর ওই তরুণকে নিয়ে দেখা দেয় ব্যাপক সমালোচনা। ওই তরুণ প্রকৃত জুলাইযোদ্ধা কী না এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
জানা গেছে, মো. ছাব্বির আহমদ নামের ওই তরুণের বাড়ি সিলেটের সাহেব বাজার এলাকায়। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি নগরের খাসদবির এলাকায় থাকতেন।
ছাব্বিরের ব্যাপারে জানতে চাইলে ‘জুলাইযোদ্ধা সংসদ, সিলেটের’ আহ্বায়ক আব্দুর রহিম শনিবার বলেন, ছাব্বিরকে আমি আগে চিনতাম না। কালকে ওই ভিডিও দেখার পর তার সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাব্বিরের ভূমিকা সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে জুলাইযোদ্ধা গেজেটে তার নাম রয়েছে। তিনি কাল কার সাথে ঢাকা গিয়েছিলেন তাও আমি জানি না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাব্বির আহমদ সরকারের গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। জুলাই আন্দোলনে আহত হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া সনদ অনুযায়ী, ছাব্বির গত বছরের জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে সিলেট উইমেনস হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ সনদের তার পেশা হিসেবে খেলা রয়েছে- ‘চালক ও কন্ট্রাক্টর’।
শুক্রবার রাজধানীর সংসদ ভবনের সামনে জুলাই জাতীয় সনদের সাক্ষর অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে অন্য জুলাইযোদ্ধাদের সাথে সেখানে যান ছাব্বির। এসময় সেখানে বিক্ষোভকালে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন ছাব্বির। এ ব্যাপারে শনিবার বিকেলে যোগাযোগ করা হয় ছাব্বির আহমদের সাথে। তিনি বলেন, শুক্রবার পুলিশের মারধরে আমি মাথায় ও পায়ে আঘাত পাই। এরপর আমাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজকে সিলেট এসেছি। এখন ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হবো। ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়েছিলাম। তখন আমার পুরোপুরি হুশ ছিল না। এসময় একজন সাংবাদিক আমাকে নানা প্রশ্ন করেন। কিন্তু আমি কি জবাব দিয়েছি তা মনে নেই। তবে পরে ভিডিও দেখে বুঝেছি- এরকম বলা ঠিক হয়নি।
সিলেটের শতবর্ষী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারী চাঁদ কলেজ সংক্ষেপে এমসি কলেজ নামে পরিচিত। যা সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে নিজে এই কলেজে পড়ালেখা করেননি জানিয়ে ছাব্বির বলেন, আমি এমসি কলেজের ছাত্র নই। আমি খাসদবির স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। এরপর পরিবারের অভাবের কারণে চাকরিতে যোগ দেই। একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতাম। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে আহত হওয়ার পর আর চাকরি করতে পারি না। জুলাই আন্দোলনে নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে আমি বন্দরবাজার এলাকায় আহত হই। তখন আমার পায়ে গুলি লাগে। শুক্রবার ঢাকায় যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সিলেট থেকে অনেক জুলাইযোদ্ধা একসাথে সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা আমাদের দাবি জানাতে গিয়েছিলাম।










