০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই আন্দোলনে জাতিসংঘ রিপোর্ট: জাতিসংঘ এ রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।

রিপোর্টার
  • সময় : ১০:২৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৭৮ ভিউ

ভলকার তুর্ক নিজ উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনের উপর একটি OHCHR Fact-Finding Report প্রকাশ করে এই রিপোর্টকে জাতিসংঘের রিপোর্ট বলে চালিয়ে দিয়েছেন । আসলে রিপোর্টটি জাতিসংঘের রিপোর্ট নয়। এটা ভলকার তুর্কের এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের যৌথ রিপোর্ট । এই রিপোর্টের প্রতিবেদন বানোয়াট ও মিথ্যা বয়ানে ভরা জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো Fact Finding Report প্রকাশ করতে গেলে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হয় এবং তখন জাতিসংঘ এর জন্য বাজেট অনুমোদন করে । কিন্তু এই রিপোর্ট প্রকাশের জন‍্য কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি । কোনো রিজলিউশন পেশ করা হয়নি বা কোনো প্রস্তাব পাশও করা হয়নি। ভলকার তুর্ক নিজ উদ্যোগে কোনো ব‍্যাক্তি বিশেষ বা কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এই রিপোর্টটি মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন । এই রিপোর্টটি ইউএন রিপোর্ট নয়। ইউএন রিপোর্টগুলোতে একটি ইউএন ডুকোমেন্ট নম্বর থাকে, এটাতে কোনো ডুকোমেন্ট নম্বর নেই । এটা ভলকার তুর্কের ব‍্যাক্তিগত রিপোর্ট ।

এই রিপোর্টটিতে অনেক তথ‍্যের গরমিল আছে। মৃতের সংখ্যা ফুলিয়ে ১৪০০ করা হয়েছে যদিও দেশের সকল নামীদামী পত্রিকা যারা আন্দোলনের সময়ে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করতো তাদের হিসাবে জুলাই আন্দোলনে মৃত্যের সংখ্যা ৬৫৭ জন, ১৪০০ শত নয়। ইউনূস সরকারের স্ব‍্যাস্থ উপদেষ্টা সর্বোচ্চ ৮৩৪ জনের মৃত্যু হিসাব দিয়েছেন যার মধ্যে ৫২ জন অন‍্যবিধ কারণ যেমন গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছেন । ঐ লিস্টের অনেকে আবার জীবিত হয়ে ফিরে এসেছেন । ঢাকাস্থ জাতিসংঘ মিশন তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে বলেছিল ৬৫০ জনেক পরিবার মারা গেছেন । ইউনূস সাহেবের সাথে আলাপ করার পর ভলকার সাহেব ৬৫০ কে ১৪০০ বানিয়ে ফেলেন।

সবচেয়ে লক্ষণীয় যে রিপোর্টেটি জাতিসংঘ প্রকাশ করেনি। তবে জাতিসংঘের নাম দিয়ে এটাকে প্রচার করা হচ্ছে — এটা একটা বড় জালিয়াতি বৈকি। আমাদের দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা এখনো এ বিষয়টা জেনেও কেন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেননি? জাতিসংঘের মহাসচিবকে অনুরোধ করা হয় যে এধরনের ত্রটিযুক্ত বানোয়াট রিপোর্ট জাতিসংঘের গ্রহণযোগ্যতা বিনষ্ট করছে। সুতরাং এ বিষয়ে নতুন অনুসন্ধান চালানো হোক। জাতিসংঘ জানায় যে, তারা কোনো রিপোর্ট প্রকাশ করেনি । কোনো রিপোর্ট প্রকাশের জন্য কোনো প্রস্তাব পাশ হয়নি এবং কোনো বাজেটও বরাদ্দ হয়নি । হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে এনিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি । সুতরাং তারা তথাকথিত জুলাই আন্দোলনে হিউম্যান রাইটস কমিশনারের নামে প্রচারিত ফেক্ট ফাইনডিং রিপোর্ট নিয়ে কোনো আলোচনা করতে রাজি নয় যেহেতু এটা তাদের রিপোর্ট নয়। সুতরাং টের পান আমরা কেমন সব বাটপারদের খপ্পরে পড়েছি? সূত্রঃ নইম নিজাম

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জুলাই আন্দোলনে জাতিসংঘ রিপোর্ট: জাতিসংঘ এ রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।

সময় : ১০:২৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

ভলকার তুর্ক নিজ উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনের উপর একটি OHCHR Fact-Finding Report প্রকাশ করে এই রিপোর্টকে জাতিসংঘের রিপোর্ট বলে চালিয়ে দিয়েছেন । আসলে রিপোর্টটি জাতিসংঘের রিপোর্ট নয়। এটা ভলকার তুর্কের এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের যৌথ রিপোর্ট । এই রিপোর্টের প্রতিবেদন বানোয়াট ও মিথ্যা বয়ানে ভরা জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো Fact Finding Report প্রকাশ করতে গেলে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হয় এবং তখন জাতিসংঘ এর জন্য বাজেট অনুমোদন করে । কিন্তু এই রিপোর্ট প্রকাশের জন‍্য কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি । কোনো রিজলিউশন পেশ করা হয়নি বা কোনো প্রস্তাব পাশও করা হয়নি। ভলকার তুর্ক নিজ উদ্যোগে কোনো ব‍্যাক্তি বিশেষ বা কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এই রিপোর্টটি মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন । এই রিপোর্টটি ইউএন রিপোর্ট নয়। ইউএন রিপোর্টগুলোতে একটি ইউএন ডুকোমেন্ট নম্বর থাকে, এটাতে কোনো ডুকোমেন্ট নম্বর নেই । এটা ভলকার তুর্কের ব‍্যাক্তিগত রিপোর্ট ।

এই রিপোর্টটিতে অনেক তথ‍্যের গরমিল আছে। মৃতের সংখ্যা ফুলিয়ে ১৪০০ করা হয়েছে যদিও দেশের সকল নামীদামী পত্রিকা যারা আন্দোলনের সময়ে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করতো তাদের হিসাবে জুলাই আন্দোলনে মৃত্যের সংখ্যা ৬৫৭ জন, ১৪০০ শত নয়। ইউনূস সরকারের স্ব‍্যাস্থ উপদেষ্টা সর্বোচ্চ ৮৩৪ জনের মৃত্যু হিসাব দিয়েছেন যার মধ্যে ৫২ জন অন‍্যবিধ কারণ যেমন গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছেন । ঐ লিস্টের অনেকে আবার জীবিত হয়ে ফিরে এসেছেন । ঢাকাস্থ জাতিসংঘ মিশন তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে বলেছিল ৬৫০ জনেক পরিবার মারা গেছেন । ইউনূস সাহেবের সাথে আলাপ করার পর ভলকার সাহেব ৬৫০ কে ১৪০০ বানিয়ে ফেলেন।

সবচেয়ে লক্ষণীয় যে রিপোর্টেটি জাতিসংঘ প্রকাশ করেনি। তবে জাতিসংঘের নাম দিয়ে এটাকে প্রচার করা হচ্ছে — এটা একটা বড় জালিয়াতি বৈকি। আমাদের দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা এখনো এ বিষয়টা জেনেও কেন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেননি? জাতিসংঘের মহাসচিবকে অনুরোধ করা হয় যে এধরনের ত্রটিযুক্ত বানোয়াট রিপোর্ট জাতিসংঘের গ্রহণযোগ্যতা বিনষ্ট করছে। সুতরাং এ বিষয়ে নতুন অনুসন্ধান চালানো হোক। জাতিসংঘ জানায় যে, তারা কোনো রিপোর্ট প্রকাশ করেনি । কোনো রিপোর্ট প্রকাশের জন্য কোনো প্রস্তাব পাশ হয়নি এবং কোনো বাজেটও বরাদ্দ হয়নি । হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে এনিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি । সুতরাং তারা তথাকথিত জুলাই আন্দোলনে হিউম্যান রাইটস কমিশনারের নামে প্রচারিত ফেক্ট ফাইনডিং রিপোর্ট নিয়ে কোনো আলোচনা করতে রাজি নয় যেহেতু এটা তাদের রিপোর্ট নয়। সুতরাং টের পান আমরা কেমন সব বাটপারদের খপ্পরে পড়েছি? সূত্রঃ নইম নিজাম