আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে উদ্বোধন হতে পারে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জ শহরতলিতে নির্মিতব্য পাওয়ার গ্রীড স্টেশন। এই সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হলে সুনামগঞ্জবাসীর বিদ্যুৎ ভোগান্তি লাগব হবে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়তে হবে না গ্রাহকদের। জেলা শহর এবং শহরতলিতে বিদ্যুৎ নির্ভর কলকারখানাও গড়ে ওঠবে।  ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের আর মাত্র ৮ টি টাওয়ার বসানো শেষ হলেই এই সাব স্টেশনের কাজ শেষ হবে ২০১২-১৩ সালে সুনামগঞ্জ শহরের হাজাীপাড়ার শামছুল আলম, ইব্রাহিমপুরের সৈয়দুর রহমান, মল্লিকপুরের আরজ আলী, হাজীপাড়ার সুরুজ মিয়া, তাঁর ছেলে সজীব আহমদ, আরপিন নগরের জাহানুর আলম, তেঘরিয়ার আকিকুর রহমান, বড়পাড়ার ইমদাদ হোসেন, জামতলার লিটন চৌধুরী ও টুটন চৌধুরীর ৫ একর ২৫ শতাংশ জমি ছয় কোটি ২০ লাখ আট হাজার ৫৮৩ টাকা মূল্যে অধিগ্রহণের মধ্য দিয়ে শহরতলির ওয়েজখালীতে (চেকনিখাড়া সেতুর পাশে) এই পাওয়ার গ্রীড স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সুনামগঞ্জ পাওয়ার গ্রীড সাবস্টেশনের সাথে ২০১৪ সালে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে দেশের ১০ টি স্থানে ৯৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পাওয়ার গ্রীড স্টেশনের কাজ শুরু হয়।

 পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি)’ এর পরিচালক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘এই প্রকল্পটির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবদার জানানোর পর তিনি বলেছিলেন, ওর আবদার ও সম্মান রক্ষা করতেই ওখানে সাবস্টেশন করতে হবে। তিনি  বলেন, প্রকল্পটি এখন শেষ পর্যায়ে। দেশে একইসঙ্গে ১০ টি গ্রীডস্টেশনের কাজ শুরু হলেও সুনামগঞ্জের কাজের অগ্রগতি সবচেয়ে বেশি। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই কাঙ্খিত গ্রীড স্টেশনের উদ্বোধন করতে পারবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই এটি উদ্বোধনের অনুরোধ জানাবো আমরা।’

পাওয়ার গ্রীড সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান বিদ্যুৎ লাইনে ছাতক থেকে সুনামগঞ্জে ৩৩ হাজার কিলো ভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়। এই বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন এসেছে পুল বা খুটি দিয়ে।  নতুন পাওয়ার গ্রীড স্টেশনে ছাতক থেকে বিদ্যুৎ আসবে ১০৮ টি টাওয়ারের মাধ্যমে। এই লাইনে এক লাখ ৩২ হাজার কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন হবে। তাতে সিস্টেম লস কমবে। লোড শেডিং কমে যাবে। গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেবার ক্ষমতা বাড়বে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। এখন ঝড় বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের পুল পড়ে যায়, লাইনে গাছ-গাছালি পড়ে ত্রুটি দেখা দেয়। নতুন লাইন ও গ্রীড স্টেশন চালু হলে সেটি হবে না। বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের কাজের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লি.’এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সালেহ্ আহমদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার। ইতিমধ্যে আমরা গ্রীড স্টেশনের কাজ শেষ করেছি। কিন্তু ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত ১০৮ টি টাওয়ারের ৮ টি যেখানে করা হবে, সেখানে প্রচুর পানি এখনো থাকায় কাজ শেষ করা যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn