জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ অনুসারীদের মধ্যে দিনে দিনে দ্বন্দ্ব আরও বাড়ছে। আজ শুক্রবার সকালে দলের প্রধান কার্যালয় কাকরাইলে যান রওশন অনুসারীরা। কার্যালয়ে গিয়ে তারা দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রওশন অনুসারীদের মুখপাত্র সুনীল শুভ রায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজ থেকে আমরা কাকরাইল কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলাম। এখন থেকে জাপার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে এই কার্যালয় থেকে। দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে রওশন অনুসারীরা মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের (রওশনপন্থি) নেতৃত্বে কার্যালয়ে যান নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ে গিয়ে তারা দায়িত্বরত স্টাফদের খোঁজখবর নেন। কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রীই জাপার একমাত্র নেতা। তিনি যে নির্দেশনা দেবেন তাই মেনে চলব। আমরা অন্য কাউকে গোনায় ধরতে চাই না। এদিকে রওশন অনুসারীরা চলে যাওয়ার পর কাকরাইল কার্যালয়ে যান জি এম কাদের অনুসারীরা। তারা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং রওশন অনুসারীদের দেওয়া ফুল সরিয়ে দেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু শুক্রবার রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, কাকরাইল কার্যালয় কারও দখলে নেওয়ার সুযোগ নেই। এটা একটা রাজনৈতিক দলের কার্যালয় কারও বাড়িঘর নেই। কার্যালয় দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশে চলবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকালে কে বা কারা কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আমার জানা নেই। তবে কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সামনে দাঁড়ানোর মতো সাহস কারও নেই। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

এদিকে কার্যালয়ের সামনে থেকে ফুল সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে রাতে সুনীল শুভ রায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, যে বা যারা এরশাদের প্রতিকৃতিতে দেওয়া ফুল সরিয়ে দেন তারা জাপার কেউ হতে পারেন না। আমরা এখন থেকে প্রতিদিন কাকরাইল কার্যালয়ে যাব। দেখি আমাদের কে আটকায়।  

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn