হাবিবুর রহমান-

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের জামালগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের গঙ্গাধরপুর ও তেরানগর গ্রামের দোলতা নদী উপর ব্রীজ ২টি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ ব্রীজ ২টির রেলিং ভাঙ্গা, মাঝে গর্ত ও অ্যাপ্রোচ না থাকায় হাওরাঞ্চালের ২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দৈনন্দিন চলাচল করছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। অবহেলিত ভাটির জনপদ ফেনারবাকের লক্ষীপুর ও ভীমখালী দু-ইউনিয়নের মানুষ বছরের ছয় মাস নৌকায় আর ছয় মাস হেঁটে ও গাড়িতে  উপজেলা সদর ও বাণিজ্যক কেন্দ্র সাচনা বাজারসহ জেলা সদর যাতায়াত করে। তার মধ্যে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, টমটম, লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের লক্ষীপুর থেকে উপজেলা সদরে যোগাযোগের রাস্তায় পাঁচটি ব্রিজের মধ্যে ২টি ব্রিজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বাকি ৩টির অবস্থায়ও বেশী সুবিধা জনক নয়। যেকোনো মুহূর্তেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীদের প্রাণহানির আশঙ্কা বিরাজ করছে।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে উপজেলার তেরানগর গ্রামের দোলতা নদীর ওপর অপরিকল্পিতভাবে সরু ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটি কয়েক বছর যেতে না যেতেই রেলিং ভেঙ্গে পড়ে যায়। অপর দিকে ফেনারবাঁক ইউনিয়নের গঙ্গাধরপুর গ্রামের ব্রীজে ফাটল দিয়ে ইট-সুরকি খসে পড়ে যানচলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ রাস্তায় উপজেলা সদরে ২৫ গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ব্রীজ দু’টি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, লেগুনা, অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহনও ওঠার সাথে সাথে দোলনার মতো দোলতে থাকে। তেরানগর গ্রামের দোলতা নদীর ওপরে ব্রীজের রেলিং ভেঙে পড়া ও অ্যাপ্রোচ না থাকায় উপজেলার হাওর পাড়ের ফেনারবাঁক, শান্তিপুর, ইনাতনগর, হটামারা, নাজিমনগর, উদয়পুর, কাশীপুর, লক্ষ্মীপুর, কামারগাঁও, বীণাজুড়া, ছয়হাড়া, দৌলতপুর, লালপুর, রসুলপুর, গঙ্গাধরপুর, মাতারগাঁও, খুঁজারগাঁও, রাজাপুর, তেরানগরসহ প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

ফেকুল মাহমুদপুর গ্রামের সমাজকর্মী মোঃআখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন,প্রায় দিনই মোটরসাইকেল ও গাড়ির ছোটখাটো দুর্ঘটনার দুঃসংবাদ শুনতে হচ্ছে। এলাকার যাত্রী সাধারণ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। ফেনারবাক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-করুনা সিন্ধু তালকদার বলেন-আমার ইউনিয়নের ব্রীজ দুটির করুন অবস্থা ইউনিয়নবাসী জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল কওে আসছে। তবে দুটি নিয়ে বারবার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলছি,আশা করি এ বিষটি নজওে আনবেন। এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, তেরানগর গ্রামের দোলতা নদীর ওপরে ব্রীজের রেলিং ও গঙ্গাধরপুর গ্রামের ব্রীজে ফাটল দিয়ে ইট-সুরকি খসা ব্রীজ দু’টির মেজারমেন্টের কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। আশা করি দ্রুতই এর সমাধান হবে। ছবি ক্যাপশন-ফেনারবাকঁ ইউনিয়নের জামালগঞ্জ-লক্ষীপুর সড়কের দোলতা নদীর উপর ব্রীজ ও গঙ্গাধরপুর ব্রীজ দুটি ভাঙ্গাচুড়া তাই জীবনের ঝুকি নিয়ে এলাকাবাসী চলাচল করছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn