বিশেষ সংবাদদাতা : ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যা ব-৯ এর সুনামগঞ্জ সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল লেঃ কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানাধীন দুর্লভপুর গ্রামস্থ সুরমা নদীর অববাহিকায় কতিপয় ব্যক্তি বলগেড নৌপরিবহন থামিয়ে চাঁদাবাজি করত: অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করছে এমন সংবাদ প্রাপ্ত হইলে তাৎক্ষনিক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে ১০ জনকে আটক করে।

এরা হলো জামালগঞ্জ থানার হাজী এমদাদুল হক আফিন্দি (৫৮),  সামি আফিন্দি (২১)  মাহী আফিন্দি (১৮), আব্দুল নূর আফিন্দি, আব্দুল হোসেন (৫২), বাদশা মিয়া (৩২),কাউসার আফিন্দি (৩৩),কাউসার আফিন্দি (৩৩), মানিক মিয়া (৬৫)  জয়নুল হক (৪৮) প্রমুখ। অভিযান কালে তাদের কাছ থেকে ২ টি ইঞ্জিনচালিত কাঠের তৈরী নৌকা,আদায়কৃত চাঁদার নগদ দুই হাজার দুইশত ত্রিশ টাকা, ৯টি মোবাইল ফোন,১ টি কাঠের হাতল যুক্ত ছুরি যাহার হাতলসহ আনুমানিক দৈর্ঘ্য ১৮ ইঞ্চি,৮ টি ছোট বড় খন্ডিত রড, ১ টি প্লাস্টিকের ও ১টি লোহার মাঝারী সাইজের পাইপ,মাঝারী সাইজের ৩ টি লোহার তৈরী ঢাল জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সুরমা নদীতে দীর্ঘদিন যাবত চলাচলরত নৌযান থামিয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে বলে স্বীকার করে। চাঁদাবাজরা পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঘটনাস্থল হতে নদীতে চলাচলরত নৌকা থেকে অবৈধভাবে চাঁদার টাকা উত্তোলন করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী ও জব্দকৃত আলামত সমূহ সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দলের অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ বলেন, উক্ত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে অনেক লিখিত অভিযোগ রয়েছে। বালি পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান,অভিযুক্ত বিএনপি নেতা এমদাদুল হক আফিন্দি আটক হওয়ার পরপরই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তার বড় ভাই সাচনাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক আফিন্দি ও তার ভাতিজা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আফিন্দি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn