জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘দ্রুত হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে হবে। হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে কোন ধরনের অনিয়ম, গাফিলতি সহ্য করা হবে না। হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের পিআইসিদেরকে ফসল ঘরে না উঠা পর্যন্ত নিয়মিত বাঁধের তদারকি করতে হবে, এর কোন ব্যতয় করা যাবে না। কেউ কোন ধরনের অনিয়ম করলে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’  তিনি আরো বলেন, হাওরের জলাবদ্ধতা এখন মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাল ও নালা খননের কাজ গুলো পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করলে এখন আর কৃষকদেরকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না। পাগনার হাওরের পানি দ্রুত নিস্কাসনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন তিনি।  বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার ও হালির   হাওরের বাঁধ-ক্লোজার পরিদর্শন কালে উপরোক্ত কথা বলেন জেলা প্রশাসক।  জেলা প্রশাসক জামালগঞ্জ সদরের মুচি বাড়ীর খাল, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের হালির হাওরের লক্ষ্মীপুরের ক্লোজার, গজারিয়া স্লুইস গেইট, গজারিয়া খাল সহ আরো কয়েকটি হাওররক্ষা বাঁধের উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরে জেলা প্রশাসক ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহিনী পুরের ঢালা পরিদর্শন করেছেন।  পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান, সহকারী কমিশনার  ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আখতার জাহান সাথী, সাচনাবাজারের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, ফেনারবাঁকের ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রজব আলী, বাপাউবোর শাখা কর্মকর্তা  নিহার রঞ্জন তালুকদার, হাওর বাঁচাও জামালগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব আকবর হোসেন, জেলা প্রশাসকের  গোপনীয় সহকারী পিন্টু দাস প্রমুখ সাথে ছিলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn