সিলেট অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আজম খান বলেছেন, ‘আমরা আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশে কিছু সমস্যা অনুভব করছি। সমস্যাটি নিজেদের আবেগ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সবাই মনে করি ছেলেটা জিপিএ-৫ পাবে কী-না, ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পারব কী-না ইত্যাদি। সন্তানকে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে এবং ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়ে আমরা মহাখুশি। কিন্তু সন্তানের আর কোনো খোঁজ রাখি না। সন্তান কীম চায় বা কী হতে চায়। আজ খেলাধুলার প্রতি আমাদের তেমন গুরুত্ব নেই। খেলাধুলা না করলে শরীর ও মন ভাল থাকে না। লেখাপড়া শিখে যদি শরীর ও মন ভাল না থাকে, তবে এ লেখাপড়ার কী প্রয়োজন আছে। লেখাপড়া করে যদি গান, আবৃত্তি, খেলাধুলা, উপস্থাপনা, ভাল করে কথা বলা যায় না তাহলে সেটি কিসের শিক্ষা? আমাদেরকে এই ‘না’ শব্দ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সুস্থ মনের ভাল শিক্ষিত সন্তান গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে সকলকে।’ তিনি বলেন, ‘আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। রাষ্ট্র এখন তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে চলেছে। এ তথ্যপ্রযুক্তি কীভাবে সন্তানেরা ব্যবহার করছে আমরা তার খবর রাখছি না। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে কুফলও রয়েছে। ব্যবহারের সময় তা খোঁজ-খবর নিতে হবে।’  তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি বিদ্যালয়ে জাতীয় সংগিত শুদ্ধ সুরে পরিবেশনের সার্কুলার এসেছে। তা ভাল করে চর্চায় রাখতে হবে।’ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় শহরের এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সফিউল আলম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইনছান মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ধূর্জটি কুমার বসু, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত।
অনুষ্ঠান শুরুতেই অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।  এদিকে, এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের অংশগ্রহণকারী এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইনছান মিয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রেমানন্দ বিশ্বাস, শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাস, মাও. সামছুল হুদা, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।  উল্লেখ্য, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এবার এসএসসি চূড়ান্ত পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে ৩০৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn