ভূমিকা
হ্যাঁ, বেয়াদব গদ্যের কথাই বলছি। উদ্ধতও বলতে পারেন। তবে শুধু গদ্য নয়, কবিতা বা সাহিত্যের অন্য যে কোন শাখার ক্ষেত্রেই এই বেয়াদবি বা ঔদ্ধত্য খুব প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আপনি বা আমি চাই বা না চাই যে কোন স্টাইলেই একসময় মরচে পড়ে। পড়তেই হয়। এক সময়ের ঝাঁ চকচকে স্যাটিন মসৃণতা একদিন দূর-ইতিহাস হয়ে যায়। শিল্প-সাহিত্য প্রসঙ্গে তো এটা দুই সিঁড়ি বেশী সত্য। এক গ্রীষ্মে প্রবল ঝড় তোলা একটি বাক্য বা বাক্যবন্ধ বসন্তে এসে মচমচ শব্দে গুঁড়িয়ে যায়। একবার মনজুর স্যার (কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম) এই তস্য পাঠকের সাথে (উনার সরাসরি ছাত্রও বটে) কথা প্রসঙ্গে ভাষার একই স্টাইলের বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি নিয়ে বলেছিলেন যে একটা গল্পে যতই নতুনত্ব থাক তার ভাষা যদি পুরনো হয় তাহলে গল্পটা তার আধুনিক শরীর নিয়ে দাঁড়াতে পারে না। স্যারের সাথে সুর মিলিয়েই বলতে চাই যে এই ‘আধুনিক শরীর’ তৈরিতে ভাষার নতুনত্ত্বের প্রশ্নে কথাসাহিত্যিকদের তাত্ত্বিক জানাশোনা বা জ্ঞানটা-ই যথেষ্ট নয়; বরং এর প্রায়োগিক দিকটা নিয়ে সচেতন ঘষা-মাজার কাজটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

প্রথমেই বলে নিতে চাই যে বর্তমান লেখাটি কোন পূর্ণমাত্রার প্রবন্ধ নয়। কারণ এতে ধারাবাহিক বা সন্নিবদ্ধভাবে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করা হয়নি। সেটা এই লেখার উদ্দেশ্যও নয়। এই লেখার মূল কিংবা একমাত্র উদ্দেশ্য হলো প্রবন্ধের গাম্ভীর্য থেকে পাঠক/লেখককে বের করে এনে খানিকটা প্রাক্‌-প্রবন্ধ আড্ডার ঢং-এ তাদেরকে পূর্ণ প্রবন্ধের দিকে ধাবিত হওয়ার উস্কানি সরবরাহ করা। এখানে মূলত বাংলা কথাসাহিত্য বা আরও নির্দিষ্ট করে বল্‌লে গল্পের ভাষা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। তবে সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও এর দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত ছায়া পড়তে পারে। যাই হোক, কথা আর না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক।

ভাষার ঘরবাড়ি ও লেখকের দায়:  

অনেক লেখক এরকম বলে থাকেন যে বেশিরভাগ পাঠক-ই পুরনো ভাষার গৎ-এর ভেতরে তাঁদের ‘আরাম এলাকায়’ (কমফোর্ট জোনে) থাকতে পছন্দ করেন। আর এ কারণেই লেখকরা  ভাষার নতুনত্ত্ব নিয়ে খুব বেশী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যেতে চান না; পাছে তাদের পাঠক এই নতুন ভাষায় অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন ও ফলশ্রুতিতে সেই লেখকদের লেখার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। হাল আমলের  অনেক গল্প-লেখকের গল্পেই দেখি “জাঁকিয়ে শীত পড়া” “মাথা উঁচু করে বাঁচা”, “আগুনের মত রুপ” বা “এই কাজে থিতু হওয়া” জাতীয় লক্ষ-কোটি ব্যবহারে জীর্ণ শব্দের পুনঃ পুনঃ ব্যবহার। সেটাও হয়ত বা মানা যেত কেননা প্রতিটি বাক্যে তো আর নিরীক্ষা চলে না; তৈরি ভাষার উপর আমাদের কিছুটা নির্ভর তো করতেই হয়। কিন্তু পুরো লেখাটাই যখন পুরনো স্টাইল-নির্ভর হয় এবং শব্দ-বাক্যের ব্যবহারে কোনরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা-ই থাকে না তখন পাঠক হিসেবে হতাশ লাগে।

প্রায়-ই দারুণ সব গল্প পড়ি এখনকার অনেক গল্পকারদের। কিন্তু গল্পটুকু চুমুক দিয়ে উঠিয়ে নিলে পড়ে থাকে ভাতের মাড়ের মত স্বাদ-বর্ণহীন ভাষা। ভীষণ পীড়ন নিয়ে ভাবি এত সম্ভাবনাময় একজন গল্পকার শুধু গল্পটুকুই উগরে দিতে চাইছেন; ভাষার ফুটবল-ক্রিকেট নিয়ে একদম-ই ভাবছেন না। বিষয়টা এমন লাগে যে লেখক শুধু পাঠকের অভ্যস্ত ভাষায় গল্প সাপ্লাই দিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে চাইছেন। ভাষার সাথে পাঠককে অভ্যস্ত করানোটাও যে তার কাজ এবং অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ এটাকে আমলেই আনছেন না। কারণ পাঠকের রুচি নির্মাণ ও বিনির্মাণ এই দু’টো দায়িত্বের জোয়াল যতই ভারি লাগুক লেখককেই এর ভার নিতে হবে।  এই বিষয়টা নিয়ে চমৎকার ফোড়ন কাটা হয়েছে আব্দুল মান্নান সৈয়দের “কবিতা কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড” নামে একটা কবিতায়। এখানে কবি দেখাচ্ছেন যে কবিতার অফিস খুলে বসেছেন একজন যেখানে জনরুচি অনুযায়ী কবিতা লেখার অর্ডার নেয়া হয় ও সেই অনুযায়ী কবিতা ডেলিভারি দেয়া হয়।

এই প্রসঙ্গে লেখকদের যে ব্যাপারটা উপলব্ধিতে খেলাতে হবে তা হলো পাঠকের রুচির সাথে আপোষ করে লিখে যাওয়ার চকচকে কিন্তু অন্ধকার রাস্তা থেকে সরে আসা। কেননা এই মনোভাব শুধু ভাষার নতুন সম্ভাবনাকেই পায়ের নীচে রাখে না বরং পাঠককেও বঞ্চিত করে ভাবের নতুন জামার সাথে পরিচিত হওয়া থেকে। একজন খ্যাতিমান কবি ও সমালোচক (নামটা মনে নেই। খুব সম্ভবতঃ পঞ্চপান্ডবদের একজন) তীরটা নিখুঁতভাবে নিশানাতে লাগিয়েই বলেছিলেন যে একজন লেখকের কাজ হচ্ছে শব্দকে তার আভিধানিক অর্থ থেকে মুক্তি দেয়া। অর্থাৎ একজন সৃষ্টি-উল্লাস লেখক শব্দকে নানান ব্যাঞ্জনায় উস্কে দেবেন তাঁর রচনায়; আকাশে ওড়াবেন শব্দের নতুন রঙের নতুন ঘুড়ি যা পাঠক আগে দেখেননি; অভিধানের আঁটোসাঁটো পোড়োবাড়ি থেকে শব্দকে উদ্ধার করে তাকে দু’পাশ খোলা বড় রাস্তা দেখাবেন লেখক; পাঠকের ভাবনার ডালপালায় উড়বে নতুন শিশু ফড়িং । পাঠক তখন শুধু গল্প-ই পড়বে না; প্রবেশ করবে ভাষার শিরা-উপশিরায় আর প্রত্যক্ষ করবে ধ্বনি-শব্দ-বাক্যের মথ থেকে কীভাবে ভাষাপোকা পাখা মেলছে, জেগে উঠছে পাঠকের কাছে এই পর্যন্ত অপরিচিত এক ভাষা-ভূমি।

এই ব্যাপারটা অস্বীকার করার উপায়ের সব চিচিং ফাঁক বন্ধ যে এই নতুন স্টাইলের উদ্বোধনের পথটা আরাম-আদরের নয়। পুরনোর সাথে সংঘর্ষ না বাঁধিয়ে নতুন কোন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। আর সাহিত্যে তো নয়-ই কেননা নতুন ভাষা মানেই পুরনো ভাষাকে তার জায়গা ছাড়তে বলা; ছাড়তে না চাইলে ক্ষেত্রবিশেষে জোর প্রয়োগে উৎখাত করা । আর সেখানেই বাধে সংঘর্ষ, নতুন আর পুরনোতে। এ প্রসঙ্গে  আব্দুল মান্নান সৈয়দকে স্মরণ করা যেতে পারে যিনি  যথার্থই বলেছেনঃ “সংঘর্ষই শিল্প”। তো এই সংঘর্ষ যে বাধায় বা জোর-জবরদস্তিমূলক ভাবে যে পুরনোর জায়গা দখল করে তাকে তো কিছুটা দেয়াদব না হলে চলে না। সাহিত্যে এরকম বেয়াদবী শুধু অনুমোদনীয়ই নয় বরং পরম আরাধ্য। আর এরকম বেয়াদব লেখকরাই অব্যাহত রাখেন সাহিত্যের শ্বাস-প্রশ্বাস।

বেয়াদব গদ্যের প্রকৃতি ও উদাহরণ:

লেখকের মনোগঠন নিয়ে আব্দুল মান্নান সৈয়দ আরও বলেছেন যে একজন লেখক বা কবি “বিশ্বাসী নয়, সে অন্বেষী। অন্বেষণ যার নেই সে কবি-সাহিত্যিক হতে পারে না”। অর্থাৎ একটা গড়ে দেয়া স্টাইলে বিশ্বাস নয় বরং একজন লেখককে খুঁজতে হবে প্রকাশের নতুন ভঙ্গি । এই ভাংচুরের ভেতর দিয়েই নব নব অন্বেষণ চলবে। মান্নান সৈয়দের এই বক্তব্যের উদাহরণ খুঁজতে তাঁর নিজেরই রচিত বহুল আলোচিত সৈয়দের সত্যের মত বদমাশ  বইটির যে কোন একটি গল্প পড়ে নিলেই হয়। উদাহরণ স্বরুপ তাঁর ‘চমৎকার অবচেতন’ গল্পটির শুরুর দিকের একটা বর্ণনার পড়া যেতে পারে যেখানে লেখক সকালের বেয়াড়া রোদের দাপটকে বর্ণনা করছেন এভাবে

“…কেউ যেন শাদা রুমালের মত রোদ ছুঁড়ে মারল মণ্টুর মুখের উপর।”

পড়লে মনেই হয় না যে এটা চার দশকের আগের কোন স্টাইল। এতই চৌকস এই উপমা যে এখনকার অনেক আধুনিক লেখকের ভাষাও এর পাশে বোকা বোকা চর্বিত চরণ ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। রোদের এই বর্ণনায় মান্নান সৈয়দের সমকালীন অনেক লেখক তো বটেই এখনকার অনেক লেখকও হয়ত লিখবেন এরকম কিছুঃ “রোদের তাপে মন্টুর চোখ কুঁচকে গেল” কিংবা “অসহনীয় রোদের তাপ সামলাতে মন্টু চোখ বন্ধ করে ফেলল” কিংবা এরকমই কোন বহু-ব্যবহৃত কোন শুকনো গদ্য যা ভাষার প্রকাশ-ক্ষমতা নিয়ে কোন নিরীক্ষা বা লোফালুফির দিকে যাওয়ার কোন আগ্রহই দেখায় না; এই লেখকেরা হাতের কাছে যে বাক্যটা তৈরী আছে সেটাই চালিয়ে দেন। এঁরা মনোযোগ দেন শুধু গল্পের দিকে; যে ভাষায় গল্প বলা হচ্ছে তার দিকে নয়। এসব লেখকের হাতে ভাষা কাফকার “The Hunger Artist” গল্পের সেই ক্ষুধা-শিল্পীর মত দিন দিন ছোট হতে থাকে।

মজার ব্যাপার হল বাংলা কথাসাহিত্যে ভাষা নিয়ে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা অনেক হয়েছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের “নিরুদ্দেশ যাত্রা” গল্পটিতে শব্দ-বাক্য নিয়ে যে একেকটা মোচড় তা পাঠকের ভেতরের চেনা ভাষার জগৎকে বেয়াদবের মতই চ্যালেঞ্জ করে বসে। যেমন “রোদন-রুপসী বৃষ্টির মাতাল মিউজিক” কিংবা “বৃষ্টি-বুনোট রাত” অথবা সেই দারুণ চমকিত বাক্য “বৃষ্টি একজন অচিন দীর্ঘশ্বাস” বা এই বাক্যটিঃ “চায়ের পেয়ালায় তিনটে ভাঙা পাতা ঘড়ির কাঁটা হয়ে সময়কে মন্থর কাঁপায়”। একটিমাত্র গল্পের সীমিত পরিসরে পাঠকের দীর্ঘ-চর্চিত ভাষার মনোরম প্যাটার্নকে আঘাতে আঘাতে ভেঙে চৌচির করে দেয় এমন বেয়াদব খ্যাপাটে গদ্য। ইলিয়াসের গদ্য নিয়ে তাই হাসান আজিজুল হকের উচ্ছ্বাস একটুও বাড়াবাড়ি মনে হয় না যখন তিনি অন্য ঘরে অন্য স্বর (যার প্রথম গল্পটিই ‘নিরুদ্দেশ যাত্রা) এর গদ্য নিয়ে বলেন, “তীরের মত ঋজু, ধানীলংকার মত বদমেজাজী এবং পরনারীর মত আকর্ষণীয়”

এরকম উদাহরণ আরও অনেক আছে। শওকত আলী কিংবা মাহমুদুল হক নিজেদের গদ্য-ভূমি তৈরী করেছেন একজন খাঁটি কৃষকের পরিশ্রমে। শওকত আলীর ‘রঙ্গিনী’ গল্পে এক ছলনাময়ী বহুবর্ণা নারীর বর্ণনা পাই এরকম—

“এক গোঁয়াড় বেপরোয়া পাকা খেলোয়াড় মেয়ে মানুষ, যার পায়ের কাছে অন্য অনেক পুরুষ মানুষের রক্তমাংসের বাসনা, অনেক রাতের ঘুম আর অনেক দিনের ঈর্ষা আর লোভ মাথা কুটে মরেছে।”

এরকম বেয়াদব গদ্যের আরেক দক্ষ ভাষ্কর মাহমুদুল হক। তাঁর জীবন আমার বোন- এ আমরা নীলাভাবী আর খোকার মুখোমুখি বসে থাকাকে লেখকের চোখ দিয়ে দেখে উঠি এইভাবে—

“দ্যুতি ঠিকরে বেরুচ্ছে নীলাভাবীর দু’চোখ দিয়ে। মাঝখানে দু’টি বিন্দুর মত দু’জনকে বসিয়ে অকারণ আনন্দে অকারণ আনন্দে চারটি দেয়াল যেন হাত ধরাধরি করে শিশুর মত নেচে নেচে ঘুরপাক খাচ্ছে; দেয়ালগুলো এখন জর্জিয়ান…ট্রানজিস্টার যেন বনবেড়াল…খাড়া করে মৃদু মৃদু নাড়ছে এরিয়েল লেজ…”

এই উদাহরণগুলোর সবই ব্যক্তিগত পাঠ থেকে নির্বাচিত কয়েকটি লেখা থেকে টানা উদাহরণ। ভাষা নিয়ে খেলার আরও অনেক উদাহরণ ছড়িয়ে আছে আমাদের সমৃদ্ধ গদ্য-সাহিত্যে। পরিসর সীমিত হওয়ার কারনে উদাহরণ আর বাড়ালাম না।

পরিশিষ্ট:

উপরের কথাবার্তায় একজন লেখকের কাল্পনিক প্রতিক্রিয়াঃ “খুব তো বল্‌লেন ভাইডি। লেইখা দ্যাখান তো।” ভাইরে আমি তো পাঠক। পাঠক হিসেবে আমার আশা-নিরাশা-হতাশা’র কথা বলার চেষ্টা করেছি। লেখার ক্ষমতা আমার নাই। আমি শুধু আপনার লেখা নিয়ে কিছুটা বকবক করে যেতে পারি। লিখতে কিন্তু হবে আপনাকেই। আর হ্যাঁ ভাই, আমি জানি লেখা নিয়ে কথা বলা যতটা সহজ লেখা ঠিক ততটাই কঠিন। তবে কী জানেন, এই কঠিন কাজটুকু করেন বলেই তো আপনি ছাপার অক্ষরের সম্মানিত লেখক। আর আমি হাজারো আম-পাঠকের একজন মাত্র। তবে মজার ব্যাপার হলো আম বলে আমাকে ঠিক উপেক্ষাও করতে পারবেন না কেননা পাঠক হৈ চৈ না করলে কিন্তু লেখকের অস্তিত্ত্ব-ই থাকে না।

সে যাক্‌ একটা ছোট্ট পরামর্শ দিয়ে শেষ করিঃ প্রথমে পুরনো ভাষার গৎ-এই একটা লেখা শেষ করুন। পড়ুন, আবার পড়ুন এবং আবারো পড়ুন। একেকবার গল্পটা পড়ুন। একেকবার পড়ুন ভাষাটা। কিছুদিন ফেলে রাখুন লেখাটা। এই সময়ে ব্যাতিক্রম অগ্রজদের লেখা পড়ুন। ভাবুন, আবার পড়ুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার ভাষা আপনার কথা শুনছে কি-না। ঝগড়া করুন ‘প্রগাঢ় পিতামহের’ মত প্রাচীন ভাষার সাথে; বেয়াদবি করুন তার প্রাচীণ আদব-লেহাজের ধারণার সাথে। বেয়াদবি সব সময় খারাপ না। এর সাথে সাথে পা মেলাক এডিটিং, রি-এডিটিং। ধীরে ধীরে হয়ত দেখবেন সাপের পুরনো খোলসের মত পুরনো ভাষার নীচ থেকেই জেগে উঠছে নতুন ভাষার পেশল শরীর। ওটাই আপনার ভাষা। আপনার আগের ভাষাটা আপনার ছিল না, ওটা ছিল অন্য মগজে অন্য সময়ে অন্যের হাতে তৈরি। আপনি শুধু মুড়ি-মুড়কির মত এতদিন তা ব্যবহার করে গেছেন। জয় হোক আপনার নতুন ভাষার। জয় হোক সব আবিষ্কর্তা লেখকের।–রাজিব মাহমুদ 

লেখক: শিক্ষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn